উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
বিজ্ঞানমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডিএসটি) সায়েন্স ফর ইক্যুইটি, এমপাওয়ারমেন্ট, অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এসইইডি) ডিভিশনের সহযোগিতায় কলকাতার ‘দ্য ফাউন্ডেশন ফর ইনোভেশনস ইন হেলথ’ এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। এই সামগ্রিক প্রক্রিয়াটির সঙ্গে যুক্ত ছিল গুয়াহাটি আইআইটি’ও। কলকাতার সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা ডাঃ শতদল সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একা নই। কোভিড বিশেষজ্ঞ ডাঃ সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এসএসকেএম হাসপাতালের প্রণীল রায়ও আমার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। টেকনিক্যাল ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন সোহম বন্দ্যোপাধ্যায়। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ কেভিন ঢালিওয়ালেরও এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’ বিজ্ঞানমন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, করোনার তীব্রতা মাপার এই কোভিড সিভিয়রিটি স্কোরের সঙ্গে তথাকথিত সিটি ভ্যালুর কোনও সম্পর্ক নেই।
কীভাবে নির্ণয় হবে এই কোভিড স্কোর? শতদলবাবু জানিয়েছেন, ‘সংশ্লিষ্ট রোগীর প্রধানত চারটি প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করেই গাণিতিক উপায়ে তাঁর স্কোর নির্ণয় করা হবে। সেগুলি হল উপসর্গ, কোমর্বিডিটি, ফিজিওলজিক্যাল প্যারামিটার ও ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট। ফিজিওলজিক্যাল প্যারামিটারের মধ্যে থাকবে রক্তচাপ, ওজন প্রভৃতি বিষয়। ইনভেস্টিগেশন রিপোর্টের মধ্যে থাকবে ব্লাড কাউন্টের মতো বিষয়।’ তিনি বলেছেন, ‘সফটওয়্যারটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেটে সহজেই ইনস্টল করা যাবে। ব্যবহার করা সহজ হলেও শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরাই এর ব্যবহার করবেন। দিনে চার থেকে ছ’বার স্কোর খতিয়ে দেখতে হতে পারে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের পক্ষে যেমন একইসঙ্গে অনেক রোগীর পরীক্ষা করা সম্ভব হবে, তেমনই রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পাবেন তাঁরা।’
সরকারি সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময় করোনা রোগীদের চিকিৎসা-প্রোটোকল ইস্যুতে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। বহু সময় আইসিইউতে পাঠানোর ক্ষেত্রে দেরি হওয়ায় রোগী মারাও যান। নতুন এই সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর তীব্রতা সম্পর্কে আগাম আঁচ করা গেলে সেইমতো ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। দ্রুত ভেন্টিলেটরের বন্দোবস্ত করা যাবে। শতদলবাবু জানান, ভবিষ্যতে অন্যান্য রোগের তীব্রতা নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও এই বিশেষ গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে বারাকপুর এবং ঠাকুরপুকুরের দুটো কোভিড কেয়ার সেন্টারে এই সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।