কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
রাজ্যসভায় বিজেপি তিনটি কৃষি বিল পেশ করতেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল সংসদ। কৃষক স্বার্থ বিরোধী বিলের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। কিন্তু, করোনার সুযোগে কোনওরকম আলোচনা, ভোটাভুটি ছাড়াই ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় বিল তিনটি। এনডিএ সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তাফা দেন শরিক অকালি দলের হরসিমরত কাউর। পরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে বেড়িয়ে যায় পাঞ্জাবের এই পুরনো শরিক।
কৃষি বিল আইনে পরিণত হতেই সোমবার কৃষক বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতে। এ দিন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে ইন্ডিয়া গেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন ১৫-২০ জন কৃষকের একটি দল। তাঁরাই একটি ট্রাক্টরে আগুন লাগিয়ে দেন। সঙ্গে চলতে থাকে কংগ্রেসের সমর্থনে বিক্ষোভ। বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। বসেছিলেন ধর্নাতেও। রাজঘাট থেকে রাজ নিবাস পর্যন্ত বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অনিল কুমার। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
কৃষক বিক্ষোভের সবথেকে বেশি আঁচ পড়েছে সবুজ বিপ্লবের প্রাণকেন্দ্র পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতে। গত সপ্তাহ ধরে সেখানকার কৃষকরা ‘রেল রোকো’র কর্মসূচি নিয়েছে। রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর ফলে পণ্য পরিবহণ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কৃষি বিলের প্রতিবাদে অনশনে বসার কথা জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এদিন সকালে স্বাধীনতা সংগ্রামী শহিদ ভগৎ সিংয়ের গ্রাম খাটকার কালানে যান তিনি। সেখানে গিয়ে কৃষি বিলের প্রতিবাদে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে ট্রাক্টর জ্বালানো নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, জনগণ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছে। আমার ট্রাক্টর হলে আমিই জ্বালিয়ে দিতাম। এতে সমস্যা কোথায়?’ উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাত সহ বিভিন্ন রাজ্যে এদিন কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়।