পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ হতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন। মাত্র ৪৯ দিনে এই সংখ্যা সাত গুণ হয়েছে। যদিও করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান দেশবাসীকে স্বস্তি দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৫১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৪৭ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬১.১৩ শতাংশ। আইসিএমআরের তথ্য বলছে, সুস্থতার হার ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। ১৫ এপ্রিল দেশে সুস্থতার হার ছিল ১১.৪২%। ৩ মে তা পৌঁছয় ২৬.৫৯ শতাংশে। ১৮ মে সুস্থতার হার ছিল ৩৮.২৯%। ৩১ মে তা গিয়ে পৌঁছয় প্রায় ৪৮ শতাংশে। অন্যদিকে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাপিয়ে গেল। মঙ্গলবার দিল্লিতে দু’হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিনই গত দু’মাসের মধ্যে মুম্বইতে সবচেয়ে কম ৮০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, অর্থনীতির স্বার্থে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করলেও এখনই ফুটপাতের ব্যবসা খোলার অনুমতি দেবে না। একইভাবে করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি কড়া মনোভাব নিয়েছে মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান সরকার। ওড়িশার করোনা আক্রান্ত এক বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করায় দিল্লিতে নিজের বাসভবনে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালেশ্বরের সাংসদ প্রতাপ সারেঙ্গী।
সোমবারই ভারতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে। আইসিএমআর জানিয়েছে, দিনে গড়ে ১ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষের কাছাকাছি করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, করোনার উৎপত্তিস্থল চীন (৯ কোটি), সর্বাধিক আক্রান্ত আমেরিকা (৩ কোটি ৮০ লক্ষ), এমনকী চতুর্থ স্থানে থাকা রাশিয়ার (২ কোটি ১০ লক্ষ) থেকেও ভারতে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কম। অন্যদিকে, করোনা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত। এদিন সংক্রমণ নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপির প্রাক্তন জোটশরিক শিবসেনা। দলের মুখপাত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে মহারাষ্ট্রের শাসকদল লিখেছে, লকডাউন ঘোষণার সময় ২১ দিনেই করোনা-যুদ্ধ জয়ের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের করোনা পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। মুম্বইয়ের একটি হোটেলে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। ছবি পিটিআই