কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
মাত্র ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে লখনউ থেকে দিল্লি পৌঁছে দেবে তেজস এক্সপ্রেস। ভোর ৬টা ১০ মিনিটে লখনউ থেকে ছেড়ে নয়াদিল্লি স্টেশনে পৌঁছবে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে। আবার দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিটে নয়াদিল্লি থেকে ছেড়ে এটি লখনউ পৌঁছবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। দাঁড়াবে দু’টিমাত্র স্টেশনে, কানপুর এবং গাজিয়াবাদ। ভাড়া এসি চেয়ার কারে ১,২৮০ টাকা এবং এগজিকিউটিভ চেয়ার কারে ২,৪৫০ টাকা। তবে চাহিদার সঙ্গে দাম বা ডায়নামিক প্রাইসিংও থাকছে। যাত্রাপথে দেরি হলে যাত্রীদের ঘণ্টা প্রতি ক্ষতিপূরণ এবং ২৫ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধাও দেওয়া হবে। মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের প্রতিদিনই চলবে ট্রেনটি। বর্তমানে এই রুটের দ্রুততম ট্রেন স্বর্ণ শতাব্দী। এটিতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। ভাড়া ছিল অনেকটাই কম।
রেলে আংশিক বেসরকারিকরণের পথে হেঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাথমিকভাবে, হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেনকে কর্পোরেটদের হাতে ছাড়া হচ্ছে। যদিও সেগুলির উপর থেকে আইআরসিটিসির নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আইআরসিটিসির অধীনে এই পরীক্ষামূলক যাত্রা সফল হলে আগামী দিনে আরও ট্রেন বেসরকারি হাতে ছাড়তে পারে রেলমন্ত্রক। প্রস্তাবিত ট্রেনের সংখ্যাটা প্রায় দেড়শো। ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জোনাল রেলওয়েগুলিকে ৫০টি প্রধান রুটে বেসরকারি ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-হাওড়ার মতো রুটও।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি এভাবে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছে রেলের ইউনিয়নগুলি। এদিন তেজস উদ্বোধনের দিনটিকে ‘বিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করেছেন অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেন’স ফেডারেশন। আজকের দিনটিকে ‘কালো দিন ’ হিসেবে উল্লেখ করে ডিআরএম অফিসের সঙ্গে জমায়েতও করেন ইউনিয়নের সদস্যরা।