কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
শুক্রবার এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে বায়ুসেনাপ্রধান ভাদোরিয়া বলেন, ‘আমাদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র আমাদেরই ওই হেলিকপ্টারকে আঘাত করেছিল, এটা প্রমাণিত। আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। দোষী দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা স্বীকার করছি যে বড় ভুল হয়েছিল। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য আমরা সচেষ্ট।’ সূত্রের খবর, বিমান ধ্বংসের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য চারজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আলাদা করে দু’জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শালের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তদন্ত রিপোর্টে গ্রাউন্ড স্টাফ এবং ওই হেলিকপ্টারের মধ্যে সমন্বয় এবং যোগাযোগের ফাঁক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যুদ্ধবিমান চালানোর নির্দিষ্ট পদ্ধতিও মানা হয়নি বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। বিমানটি যে ভারতেরই তা গ্রাউন্ড স্টাফদের জানানোর জন্য বিশেষ সুইচ (আইএফএফ) ছিল। বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের সময় সেই সুইচ বন্ধ করা ছিল। বিমানটি ওড়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই তাকে ফিরে আসতে বলা হয়। এসব ক্ষেত্রে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ফিরতে না বলে কোনও নিরাপদ স্থানে নামতে বলাই দস্তুর। এক্ষেত্রে দু’টি নিয়মই মানা হয়নি। বায়ুসেনার এক সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে একটি হামলার পর থেকেই আইএফএফ ব্যবস্থাকে স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে। অর্থাৎ আইএফএফ চালু না থাকলে কোনও যুদ্ধবিমানকে শত্রু পক্ষের হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।