উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে রাজ্যের বিভিন্ন হাইস্কুলে ভোকেশনাল ট্রেনিং শুরু হয়েছে। লক্ষ্য ছিল, ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিজেদের এলাকার স্কুলে হাতে-কলমে কাজ শিখে ভবিষ্যতে স্বনির্ভর হতে পারে। এই ট্রেনিংয়ের জন্যই সরকার সেন্টারগুলিকে বিভিন্ন ফান্ড দেয়। সেগুলি সঠিক সময়ে খরচ করে তার হিসেব ও ইউসি জমা করতে হয়। সেই অনুযায়ী পরবর্তী ফান্ড ঢোকে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ৯১টি স্কুল কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলায় রয়েছে। দ্রুত ইউসি জমা করার জন্য রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দপ্তর থেকে গত ১৮ জুন একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে ওই ৯১টি স্কুলের তালিকাও তুলে ধরা হয়েছে।
এই স্কুলগুলির মধ্যে দু’ধরনের ইউসি ডিফল্টার রয়েছে। প্রথমত, কিছু স্কুল ম্যানুয়াল ইউসি জমা করেনি দীর্ঘদিন। দ্বিতীয়ত, কিছু স্কুল ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এবং কিছু স্কুল ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের হিসেব অনলাইনে জমা করেনি। অনেক স্কুলে সরকারি ফান্ড অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েও রয়েছে। ফলে, তারা ইউসি দিতে পারছে না। দপ্তরের দাবি, এভাবে সরকারি ফান্ড ফেলে রাখা যাবে না। দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ইউসি জমা দেওয়ার ব্যাপারে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি, রিমাইন্ডার, ফোন— সবই করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও ফল হয়নি। সংশ্লিষ্ট স্কুল ইউসি না দিলেও প্রতি মাসে কিন্তু টিচার ও ইনস্ট্রাক্টরদের ভাতার জন্য অনলাইনে রিকুইজিশন পাঠানো হচ্ছে!
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর মনোজকুমার চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ বছর ধরে সমস্ত দপ্তরে আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। প্রতিটি স্কুলের উচিত সঠিক সময়ে সরকারি ফান্ডের হিসেব ও ইউসি জমা দেওয়া।