উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার পর কীভাবে নিজেকে মৃত বলে ঘোষণা করে অমৃতাভ নিজের বোনের চাকরির ব্যবস্থা করলেন, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করাই এখন সিবিআইয়ের মূল চ্যালেঞ্জ। সেই কারণে অমৃতাভ ও তাঁর বাবাকে এদিন সিবিআই দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়। বেলা ১টা নাগাদ তাঁরা হাজির হন নিজাম প্যালেসে। জিজ্ঞাসাবাদে ‘নিহত’ দাবি করেন, ‘আমিই অমৃতাভ। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে ব্যক্তিগত কাজে মুম্বই যাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনার পর আমার নাম তুলে দেওয়া হয় মৃতের তালিকায়।’ কে নাম তুলে দিল? কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে পরিবারের কেউ চাকরি পাবে, এই বুদ্ধি কে দিল? সিবিআইয়ের এই প্রশ্নে অমৃতাভ সটান জবাব দেন, ‘এটা রেলের অফিসারদের জিজ্ঞাসা করুন। তাঁরা বলতে পারবেন।’ ফলে ঘুঘুর বাসা যে রেলেই, তা এই জবানবন্দি থেকেই পরিষ্কার সিবিআইয়ের কাছে।
প্রাথমিকভাবে সিবিআইয়ের হাতে যে তথ্য এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, এই চক্রে রেলের অফিসারদের সঙ্গে আরও বেশ কিছু ব্যক্তি জড়িত। তঁারা নিহতদের তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। দুর্নীতির শুরু এখান থেকেই। অমৃতাভর সঙ্গে কোনওভাবে এই চক্রের যোগযোগ তৈরি হয়। তাঁদের সাহায্য নিয়ে মৃতের তালিকায় নাম তোলেন অমৃতাভ। তারপর তৈরি করা হয় মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র ও ডিএনএ রিপোর্ট।
কিন্তু যে চিকিৎসক স্বাক্ষর করেছেন, তাঁর অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিয়েই সন্দিহান সিবিআই। এখানেই ফের উঠে আসছে রেলের গাফিলতির কথা। কারণ, কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে কেউ চাকরির আবেদন করলে মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদানকারী হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যিই মারা গিয়েছেন কি না, তা জানার জন্য তাঁর বাড়ি গিয়ে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করাই নিয়ম। কিন্তু জ্ঞানেশ্বরী নাশকতার পর এই গ্রাউন্ডে চাকরি দেওয়ার জন্য রেল বিশেষ সেল গড়লেও, যাচাই প্রক্রিয়া হয়েছিল খাতায়-কলমে। তাই কোন কোন অফিসার এই কাজের দায়িত্বে ছিলেন এবং অমৃতাভর পরিবারের থেকে কারা নথি সংগ্রহ এবং যাচাই করছিলেন, সেই নাম রেলের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। কারণ, তিনি যে জাল নথি জমা দিয়েছিলেন, সংবাদ মাধ্যমের সামনে তা কার্যত স্বীকার করেছেন অমৃতাভ। পাশাপাশি জানিয়েছেন, তাঁর দিদি চাকরি করে যে বেতন পেয়েছেন, তা সুদ সহ ফিরিয়ে দেবেন।