উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে দিল্লির এক নেতা বলেন, ‘২ মের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার দলবিরোধী পোস্ট ছড়িয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, এর সঙ্গে দলীয় অনুশাসন এবং শৃঙ্খলার প্রশ্ন জড়িয়ে।’ তাঁর বক্তব্য, পোস্টগুলি খতিয়ে দেখতে গিয়ে নজরে আসছে, সেগুলির অধিকাংশই বাজারে এসেছে ‘ফেক প্রোফাইল’ থেকে। অথচ, সেই প্রোফাইলেরই ফ্রেন্ড লিস্টে রয়েছেন প্রথম সারির বিজেপি নেতারা! কেন্দ্রের ওই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের দাবি, আমাদের হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে, রাজ্য এবং জেলা স্তরের বহু নেতা নিচুতলার কর্মীদের দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে এই কুরুচিকর পোস্ট করাচ্ছেন। কিন্তু ফেক প্রোফাইল ‘অদৃশ্য শত্রু’। তাই বিকল্প উপায় নেওয়া হয়েছে। সেটা কেমন? দিল্লির ওই নেতা বলেন, প্রথমে সন্দেহজনক ফেক প্রোফাইলের ফেন্ড লিস্টে থাকা পদাধিকারীদের তালিকা তৈরি হবে। সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টকে আন-ফ্রেন্ড করার নির্দেশ যাবে তাঁদের কাছে। ৩ দিনের মধ্যে আন-ফ্রেন্ড না হলে শো-কজ। আর তাতেও কাজ না হলে প্রয়োজনে সাসপেন্ড করা হবে।
তবে দলবিরোধী কথা বললেও দলবদলু একাধিক হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে এখনই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না গেরুয়া পার্টি। সূত্রের দাবি, তঁাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা। বিষয়গুলি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ এবং জাতীয় আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য। বিজেপির ভাবটা স্পষ্ট, আলোচনায় সমস্যা মিটলে জটিলতা বাড়িয়ে কী হবে? এক রাজ্য নেতার দাবি, আলোচনায় কাজ হয়েছে। তাতে কি অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটেছে? তেমন ছবি কিন্তু এখনও দেখা যাচ্ছে না। ওই নেতা অবশ্য জানান, দু’মাসে এই ‘সামাজিক’ অন্তর্ন্দন্দ্ব মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
আসল লক্ষ্য কিন্তু একটাই—ড্যামেজ কন্ট্রোল।