কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
হাতে ফাঁকা গ্যাসের সিলিন্ডার, মুখে প্রতিবাদী স্লোগান। এইভাবেই এদিন দুপুরে ১৬ নং জাতীয় সড়কের পাশে উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। সেইসময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। যদিও তৃণমূলের কর্মসূচি পালন করায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যাতায়াতের পথে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন হাওড়া জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের (গ্রামীণ) সভাপতি বিধায়ক পুলক রায়। এদিনের এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসক অভয় দাস, আব্বাস উদ্দিন খান, হাওড়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (গ্রামীণ) সভাপতি হাসিবুর রহমান সহ অন্যান্যরা। তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল। তিনি বলেন, তৃণমূলের এটা রাজনৈতিক গিমিক ছাড়া আর কিছুই নয়।
অন্যদিকে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনি ও রবিবার জেলায় জেলায় জেলায় কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। শনিবার যাদবপুর থানা থেকে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত মিছিল হবে। রবিবার মিছিল হবে ঠাকুরপুকুর ৩এ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। উত্তর কলকাতাতেও দু’দিন টানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, হেঁসেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাই রাস্তায় নেমে মানুষের স্বার্থে প্রতিবাদ গ্যাসের দোকানের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করবে তৃণমূলের বঙ্গজননী বাহিনী। এছাড়াও ২২ তারিখ ধর্মতলায় অবস্থান-বিক্ষোভ করবে তৃণমূলের মহিলা শাখা।
হুগলির পাণ্ডুয়ায় তৃণমূল মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল ছাড়াও এদিনই শ্রীরামপুরে মোটরবাইক পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে তৃণমূল। স্থানীয় পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সন্তোষকুমার সিং বলেন, তেলের দাম এত হলে মোটরবাইক চালাব কীভাবে? তাই পুড়িয়ে বিক্ষোভ।
পাশাপশি, উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুখপাত্র ব্রাত্য বসু। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, যাঁরা গুজরাতের উন্নয়ন করতে পারেননি, তাঁরা বাংলায় ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আগে তাঁরা নিজের রাজ্যের দিকে নজর দিন। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির থেকে বাংলার অবস্থা কতটা ভালো, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তৃণমূল। যেখানে বলা হয়, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনে ব্যয় হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। আর ২০২১ সালের বাজেট বরাদ্দ শূন্য। কিন্তু বাংলায় ২০১৩ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হয়। তাতে সরাসরি সুবিধাভোগী ৬৭ লক্ষ। এপর্যন্ত ৯৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ব্রাত্যবাবু বলেছেন, গুজরাতের বাজেটের সিংহভাগ খরচ হয় জমি অধিগ্রহণ করতে। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় ২ শতাংশ। গুজরাতের ৪৫ শতাংশ শ্রমিক হচ্ছেন নিরক্ষর। শিক্ষকদের বেতন অনিয়মিত। পেনশন নিয়ে চূড়ান্ত টালবাহানা চলছে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের এক অধ্যাপকের কথা উল্লেখ করে ব্রাত্যবাবু বলেছেন, গুজরাতের উন্নয়ন মানে হচ্ছে প্রদীপের নিচের অন্ধকার।