কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
সেপ্টেম্বর মাসে মুর্শিদাবাদ থেকে ন’জন আলকায়দা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে দিল্লির এনআইএর অফিসাররা। প্রথমে কেরলে কয়েকজন আল কায়েদা জঙ্গি ধরা পড়ে। তার সূত্র ধরেই এরাজ্যে আল কায়েদার ঘাঁটির খোঁজ মেলে। পরে আরও তিনজন ধরা পড়ে। চার্জশিটে এনআইএ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদে তারা জঙ্গি ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান বসে চলছিল নতুন জঙ্গি নিয়োগের কাজ। মুর্শেদ ছিল এই চক্রের মূল মাথা। সঙ্গে আরও অন্য জঙ্গি নেতারা ছিল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখত। তাদের চ্যাট ‘রিট্রিভ’ করে জানা গিয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের আল কায়েদার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত কথাবার্তা চলত। কীভাবে সংগঠন চালাতে হবে নতুন জঙ্গিদের কী কী প্রশিক্ষণ হবে, সমস্ত কিছু নির্দেশ আসত পাকিস্তান থেকে। নিয়োগ করা জঙ্গিদের জন্য তারা একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার চেষ্টা করছিল মুর্শিদাবাদে। সেই কারণে পাকিস্তান. থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসার কথা ছিল আল কায়েদার স্থানীয় মডিউলের কাছে। সে বাবদ তহবিলও জোগাড় হয়ে যায়। দিল্লিতে এই অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এসে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সকলেই ধরা পড়ে যায়।
চার্জশিটে বলা হয়েছে দেশ জুড়ে নাশকতার ছক কষেছিল তারা। এরজন্য বিভিন্ন গোপন ডেরায় তারা একাধিক বৈঠক করে। সেখানে আল কায়েদার শীর্ষ নেতারা হাজির ছিল। সেই সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া বেসড’ বাংলাদেশি ব্লগারদের উপর আক্রমণের ছক কষেছিল তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লগারদের আলোচনা তাদের পছন্দ ছিল না। সেই কারণে খুনের পরিকল্পনা করে আল কায়েদার জঙ্গিরা। এরজন্য জঙ্গিরা একটি ঘাতক টিম তৈরি করেছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি চার্জশিটে এও বলা হয়েছে, এখনও এই জঙ্গি সংগঠনের অনেককে ধরা যায়নি। ভবিষ্যতে যাতে তাদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া যায়, সে কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে।