কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওই পূর্ণবয়স্ক হাতিটি হঠাৎ শহরে ঢুকে পড়ে। হাতি শহরে ঢুকে পড়ায় হুলস্থূল বেধে যায়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিটি সকালের দিকে খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার জকপুরে ছিল। পরে জাতীয় সড়ক আর কাঁসাই নদী পেরিয়ে চলে আসে শহর লাগোয়া ধর্মা এলাকায়। সন্ধ্যার পর হবিবপুর দিয়ে দলমার দামাল যখন শহরে প্রবেশ করছে, তখন সারা শহরে রটে যায় হাতি ঢুকে গিয়েছে। হাতি দেখতে রাস্তায় নেমে পড়ে কয়েক হাজার বাসিন্দা। আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
রাত ৮টা নাগাদ হবিবপুর হয়ে হাতি চলে আসে জনবহুল পঞ্চুরচকে। সেখান তখন উৎসাহী জনতার ভিড় জমে গিয়েছে। অনেকেই হাতির পিছু ধাওয়া করতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাতি সোজা ঢুকে যায় মেদিনীপুর কলেজে। ততক্ষণে পুলিস ও বনদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা এসে গিয়েছেন। মাইকে সবাইকে সতর্ক থাকার ঘোষণাও শুরু হয়ে গিয়েছে। উৎসুক জনতাকে বাগে আনতে লাঠিও চালাতে হয় পুলিসেক। হুলা পার্টি আর বিশেষ গাড়ি নিয়ে কলেজে ঢুকে হাতিকে আয়ত্তে আনার চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু ধরা না দিয়ে সে তখন রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। বিভিন্ন গলিপথ ঘুরে সোজা চলে যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। সেখানে বেশ কয়েক ঘণ্টা থাকার পর তাকে ঘুমপাড়ানি ওষুধ খাওয়ানো হয়।
এদিকে হাতির খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এক সাংবাদিককে পুলিসের এক আধিকারিক মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই সাংবাদিক বলেন, নিজের পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও মারধর করা হয়। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। সাংবাদিকরা এই ঘটনার বিহিত চেয়ে পুলিসের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের বিষয়টি লিখিতভাবে জানান।