কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
মোতেরায় গোলাপি টেস্টে ভারতের কাছে মাত্র দু’দিনে হেরে চরম অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড দল। প্রথম টেস্ট জেতার পর টানা দু’টি ম্যাচে পরাজয়ের ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলার দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে জো রুটদের সামনে। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমালোচনায় রুট বাহিনীকে বিদ্ধ করছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তনরা। বয়কট বলেছেন, যেহেতু উইকেটের গুণমান সংক্রান্ত কোনও বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই, তাই পিচ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অর্থহীন। নিজের নিবন্ধে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক লিখেছেন, ‘মানছি যে, পিছ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা পেয়েছে স্পিনাররা। কিন্তু সেটাকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করলে ভুল হবে। কারণ পিচ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনও গাইড লাইন আইসিসি’র সংবিধানে নেই। তাছাড়া এই পিচে টসে জিতে আমরাই তো পছন্দমতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তাতেও কিছু হল কি? তাই বলতে দ্বিধা নেই, ভারত আমাদের সব বিভাগে টেক্কা দিয়েছে।’ ইংল্যান্ডের দল গঠনের সমালোচনা করে বয়কট আরও লিখেছেন, ‘টার্নিং পিচে তিন বিশেষজ্ঞ পেসার খেলানোর নির্বোধ ভাবনা কার মাথায় এসেছিল, আমি জানতে আগ্রহী। ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্ট বোধ হয় ভুলেই গিয়েছিল, গোলাপি বলে টেস্ট খেলতে তারা অ্যাডিলেডে নয়, আমেদাবাদে নামছে। তৃতীয় টেস্টে ভারত যেখানে তিন স্পিনার ও দুই পেসারকে নিয়ে প্রথম একাদশ গড়ল, সেখানে আমাদের দল একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার জ্যাক লিচের সঙ্গে মাঠে নামিয়েছিল তিন পেসার অ্যান্ডারসন, ব্রড ও আর্চারকে। এমন ভুল পরিকল্পনার ফল তো ভোগ করতেই হবে।’
ইংল্যান্ডের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেন তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘পিচ বা তৃতীয় আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলতেই পারে, চলবেও। তবে সেটা বড় কথা নয়। আসল চিন্তার বিষয় হলো, গুরুত্বপূর্ণ টস জয়ের পরেও ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপের এভাবে মুখ থুবড়ে পড়া। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ৭৪ থেকে ১১২ রানে অল আউট! দ্বিতীয় ইনিংসে তো আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা। ৮১ রানে সব উইকেট হারানোর মতো পিচ এটা ছিল না। সত্যি বলতে কী, ভয়ে ঘাবড়ে যাওয়া খরগোশের মতোই লাগছিল আমাদের ব্যাটসম্যানদের। অক্ষর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সামলানোর ওদের আরও ভালো পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামা উচিত ছিল।’
রুটদের একহাত নিয়েছেন মাইকেল ভনও। প্রাক্তন ইংরেজ তারকাটি ট্যুইট করেছেন, ‘লজ্জাজনক হার স্বীকার করেছে আমাদের দল। মাত্র দুই দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করাটা মেনে নেওয়া যায় না। এমনটা চললে টেস্ট ম্যাচ দেখানোর আগ্রহ হারাবে সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলি।’