কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
অনুপম হাজরার বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের এমপি সৌগত রায় বলেন, এমনিতে লোকে রামায়ণ পড়ে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা আছে, পরশুরামের লেখা বই আছে, সেগুলি পড়াক না। রামের ইতিহাস আবার কী? রামায়ণটা ভালো করে আগে ওরা পড়ুক। রামায়ণ মাহাকাব্য। কিন্তু রামকে ‘পলিটিক্যাল টুল’ বানানোর আমরা বিরুদ্ধে। রাম তো মহাকাব্যের নায়ক। সেটা নিয়ে রাজনীতি করার কী আছে? এদিকে, কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ সরকার, সৌমিত্র খাঁর মতো বিজেপি নেতারা ‘শিক্ষা বাঁচাও পদযাত্রা’ শুরু করেন। মাল্যদানের সময়ও রাজনৈতিক স্লোগান, রাজনৈতিক প্ল্যাকার্ডের আতিশয্য ছিল চোখে পড়ার মতো। উঠছিল বিরোধী দলগুলির জনপ্রিয় করা ‘খেলা হবে’ স্লোগানও। শিক্ষা সেলের মিছিল হলেও আধিক্য ছিল যুব মোর্চা এবং মূল দলের কর্মী সমর্থকদের। ফলে জনসমাগম ছিল বেশ ভালোই। বিজেপি নেতাদের নিরাপত্তা দিতে মিছিলের আগে হাঁটছিলেন স্বয়ংক্রিয় রাইফেলধারী আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। তবে, শিক্ষকদের দাবিদাওয়া এবং নিয়োগ সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে স্লোগান দেওয়া, প্ল্যাকার্ড ধরে নাড়ানোর কাজগুলি করে দিচ্ছিলেন দলীয় কর্মীরাই। অধ্যাপক থেকে স্কুল শিক্ষক, এসএসকে-এমএসকে, পিটিটিআই, আন এডেড মাদ্রাসা—সব ইস্যুই ছিল। কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে ওয়াই চ্যানেলে পৌঁছয় মিছিল। সেখানে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনার পদ্ধতি নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, অমিত শাহের শারীরিক গঠনকে টেনে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, যা তাঁর মতো পদে থেকে বেমানান। যদিও, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক বৈশিষ্ট্য টেনে তাঁর বিরুদ্ধে যখন স্লোগান দিচ্ছিলেন বিজেপির কর্মীরা, তখন রাজীব চুপ ছিলেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ। তিনি এবার অবসর নিন। তাঁর কাছে বিভিন্ন সংগঠন এবং কর্মপ্রার্থীরা দাবিদাওয়া সংক্রান্ত স্মারকলিপি তুলে দেন।