মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফুড কমিশনার তথা খাদ্যসচিব পারভেজ আলম সিদ্দিকি সহ খাদ্য দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।বুধবার পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে মোট ৪৪ লক্ষ ৯০ হাজার টন ধান কেনা হয়েছে। ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও প্রায় ৫০ লক্ষ টন ধান কিনতে হবে। বাড়তি ধান কেনার জন্য স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে এবার থেকে অতিরিক্ত তিনটি করে কাউন্টার খোলা হবে। ৪২১টি ক্রয় কেন্দ্রে এখন একটি করে কাউন্টার আছে। সেই সংখ্যা বেড়ে হবে প্রায় ১৬০০টি। কৃষি দপ্তরের কাছে খবর, এখনও চাষিদের ঘরে বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান মজুত রয়েছে। সরকার নির্ধারিত দাম খোলাবাজারের থেকে বেশি হওয়ায় চাষিরা বিক্রি করতেও আগ্রহী।খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ ধান কেনা হয়েছে, তা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি রেশন গ্রাহককে চাল সরবরাহ করা যাবে। রাইস মিলগুলি সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান ভানিয়ে চাল দিচ্ছে। এখনও তাদের কাছ থেকে প্রায় আট লক্ষ টন চাল পাবে খাদ্য দপ্তর। তবে আগস্ট মাস থেকে চালের চাহিদা কিছুটা কমবে। এখন মাসে প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টন চাল লাগছে। যা এপ্রিল মাসের আগে ছিল প্রায় এর অর্ধেক। এখন রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে প্রায় চার কোটি রেশন গ্রাহক মাসে বিনা পয়সায় পাঁচ কেজি করে চাল পাচ্ছে। জাতীয় প্রকল্পে প্রায় ৬ কোটি গ্ৰাহককে স্বাভাবিক বরাদ্দ হিসেবে দু’কেজি চাল ও তিন কেজি গম বা আটা বিনা পয়সায় দেওয়া হয়। আগস্ট থেকে রাজ্য প্রকল্পের গ্ৰাহকদেরও বিনা পয়সায় দু’কেজি চাল ও তিন কেজি করে গম বা আটা দেওয়া হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গম বা আটা দিলে সরকারের কিছুটা আর্থিক সাশ্রয় হবে। রাজ্য প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য এফসিআইয়ের কাছ থেকে আগের মতো গম কিনবে রাজ্য সরকার। এখন কেজি প্রতি গমের দাম পড়ছে ২১ টাকা। যেখানে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে খরচ পড়ে কেজিতে প্রায় ৩২ টাকা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিনা পয়সায় রেশনে খাদ্যসামগ্রী দিতে প্রতি তিন মাসে প্রায় ৪,৮০০ কোটি টাকা লাগতে পারে।