শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
ট্রাই বলছে, তাদের হিসেবে ১০০টি ফোন করা হলে, তার মধ্যে সর্বোচ্চ দু’টি কল ড্রপ হতে পারে। কিন্তু তার চেয়ে যদি বেশিবার ফোন কেটে যায়, তা অবশ্যই মোবাইল সংস্থার গাফিলতি। ট্রাইয়ের হিসেব, বিএসএনএলের বেঙ্গল সার্কেলে ১০০টির মধ্যে প্রায় ন’টি ক্ষেত্রে কল ড্রপ হয়। ট্রাই বলছে, যখন টাওয়ার খুব ব্যস্ত থাকে, অর্থাৎ মানুষ বেশি করে ফোনে কথা বলেন, তখন ১০০টির ফোন কলের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি কল ড্রপ মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রেও বিএসএনএলের বেঙ্গল সার্কেলে কল ড্রপের হার ১০.২০ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০টির মধ্যে ১০টির বেশি কল কেটে যায়। ফোন যদিও বা হল, স্পষ্টভাবে কথা শোনার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে বিএসএনএল। ট্রাইয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১০০টি কলের মধ্যে অন্তত ৯৫টি কলে স্পষ্ট কথা শোনা উচিত। এক্ষেত্রে বিএসএনএলের বেঙ্গল সার্কেল টেনেটুনে পাশ করেছে। তার সাফল্যের হার ৯৭.২৮ শতাংশ। কলকাতা সার্কেলে অবশ্য সেই হার আরও খারাপ। তা ৯৬.৭৭ শতাংশ। বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে এই পরিষেবা অনেকটাই ভালো, দাবি করেছে ট্রাই।
মোবাইল ফোন নিয়ে তিতিবিরক্ত গ্রাহক যে কোনও সমস্যা বা অভিযোগ নিয়ে কলসেন্টারে ফোন করেন। সেখানে পরিষেবার কী হাল? ট্রাই বলছে, ১০০ জন গ্রাহক যদি কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন, তার মধ্যে ৯৫ জনের ফোন সেই সময় কলসেন্টারের তরফে গ্রহণ করা উচিত। বিএসএনএল অবশ্য এসবের তোয়াক্কা করে না। ট্রাই স্পষ্ট জানিয়েছে, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি ফোনও কলসেন্টারে যায়নি। অর্থাৎ ওই পরিষেবার ঝাঁপ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিল বিএসএনএল। কী হাল কলকাতা সার্কেলের? ট্রাই বলছে, সেখানে গ্রাহকের ফোন কাস্টমার কেয়ার পর্যন্ত গিয়েছে বটে। কিন্তু সেই ফোন ধরতে প্রবল অনীহা সেখানকার কর্মীদের। ট্রাই ঠিক করে দিয়েছে, অন্তত ৯৫ শতাংশ গ্রাহকের ফোন দেড় মিনিটের মধ্যে রিসিভ করবেন কলসেন্টারের কর্মীরা। বিএসএনএলে সেখানে ৯৫ শতাংশ নয়, ৬৮ শতাংশের ফোন দেড় মিনিটের মধ্যে রিসিভ করা হয়। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ৩২ জন গ্রাহক কাস্টমার কেয়ারে ফোন করার দেড় মিনিট পরেও সরাসরি কর্মীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। তবে ট্রাইয়ের তথ্য বলছে, এই সমস্যা শুধু বিএসএনএলের নয়। বেসরকারি নামজাদা মোবাইল সংস্থাগুলিও এরাজ্যে এই রোগে আক্রান্ত।