প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
মমতা বলেন, অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত নন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। ভালো খবর হল, সব মিলিয়ে ১২ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। চিকিৎসা করিয়ে এবং নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থেকে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আগে তিনজন বাড়ি ফিরেছিলেন, এদিন ফিরে যাচ্ছেন আরও ন’জন। দৃশ্যত আত্মতৃপ্ত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে খোঁজখবর নিয়ে আপনাদের সামনে এলাম। সেখানে চিকিৎসাধীন সমস্ত রোগী সুস্থ আছেন। আমি খুব খুশি, প্রার্থনা করি তাঁরা যাতে আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
করোনা প্রতিরোধ লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সবকিছুরই পরিচালনা করছেন তিনি নিজে। পাশাপাশি, দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন সাধারণ, দরিদ্র মানুষের পাশে। এদিনও প্রত্যয়ী মমতার পরামর্শ ছিল, এই কঠিন সময়ে সবাই বাড়িতে থাকুন। কারণ, বাড়িটাই সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। আসুন, নিজেদের ঘরবাড়ি আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। এক ঘণ্টা অন্তর হাত সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। অন্তত ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাতটা ঘষবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা, ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া, কিডনির সমস্যা, অ্যাজমা, হার্টের সমস্যা রয়েছে যাঁদের এবং যাঁরা ডায়াবেটিক, সেরিব্রালের সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁরা এখন নিজেদের প্রতি একটু বেশি যত্ন নিন, সাবধানে থাকুন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদিন করোনা পজিটিভ হিসেবে আরও চারজনের রিপোর্ট এসেছে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা ভাইরাস পজিটিভের সংখ্যা এখন ৩৮।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে রাজ্যে ফিরে আসার ৫৪৯৬৫টি কেস সামনে এসেছিল। তাঁদের সবাই ছিলেন কোয়ারেন্টাইনে। কোয়ারেন্টাইন থেকে এখন মুক্ত ২৯৩৬ জন। এখনও কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫২০২৯ জন। পরিসংখ্যান দিয়ে মমতা বলেন, মোট ২০৬টি সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হয়েছে। সেখানে ছিলেন মোট ৫১১০ জন। তার মধ্যে ছাড়া পেয়েছেন ৩২১৮ জন, এখনও রয়েছেন ১৮৯২ জন। কোভিড-১৯ ভাইরাস চিকিৎসার জন্য রাজ্যে মোট ৫৯টি হাসপাতাল বাছাই করা হয়েছে। মারণ ভাইরাস করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতাল বাছাই করা নিয়ে নানা ভ্রান্ত ও মিথ্যা প্রচার শুরু হয়েছে।
মমতার কথায়, কোনও না কোনও হাসপাতালে রোগী তো যাবেই। বিষয়টি মানবিকভাবে দেখতে হবে। আজ আমি সুস্থ আছি, হতেই পারে কাল আক্রান্ত হলাম, তাহলে কী চিকিৎসা পাব না! এসব ভেবেই তো করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল করা হচ্ছে, সেখানে শুধু সেটারই চিকিৎসা হবে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, মহানগরীর যাবতীয় করোনা চিকিৎসা বেলেঘাটা আইডি’র সঙ্গেই হবে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের সমস্ত রোগীকে পিজি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত এবং পুলিস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে বলে ঘোষণা করেন মমতা। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলছেন, সাগর দত্ত হাসপাতালে (কামারহাটি) কোনও চিকিৎসা হবে না। আপনি সেটা ঠিক করবেন নাকি! মহামারী প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী সরকার সেটা ঠিক করবে। করোনা রোগী তো যাচ্ছে না, জ্বর, সর্দি, কাশি আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে সেখানে।