নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যে আর্থিক সঙ্কট চললেও মাসের ১ তারিখের মধ্যে সকলের বেতন হয়েছে। ৩৫ লক্ষ ১০ হাজার ২০০ জনকে দু’মাসের সামাজিক সুরক্ষা পেনশন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দূরদর্শনে শুধু রামায়ণ, মহাভারত বা শক্তিমান দেখাই নয়, পড়াশোনাও করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের, এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নবম থেকে একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য বিকেল ৪টে থেকে ৫টা পর্যন্ত দূরদর্শনে ক্লাস হবে।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণের ক্ষেত্রে যাঁদের কার্ড নেই, তাঁদের কুপন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে কুপন প্রাপকদের হাতে বোরো চেয়ারম্যানরাই কুপন তুলে দেবেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে দলবাজি হতে পারে। সেই অভিযোগ তুলে কুপন বণ্টনের দায়িত্ব প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলারদের হাতে ছাড়া হোক বলে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিলেন পুরসভার বাম দলনেত্রী রত্না রায় মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, পয়লা এপ্রিল ২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করার যে সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে, সেখানে আরকেএসওয়াই-১ তালিকাভুক্তরা, অর্থাৎ যাঁরা ২ টাকা কিলো দরে চাল পেয়ে থাকেন, তাঁরাই বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন। কিন্তু যে সমস্ত প্রান্তিক মানুষ আরকেএসওয়াই-১ এর জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনও রেশন কার্ড পাননি, তাঁদের রশিদ দেখে কুপন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া, সেই তালিকার মধ্যে যে দরিদ্র মানুষেরা নেই, তাঁদেরও এই কুপনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বরো চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এই কুপন বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিগত সময়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড বিলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পে যেভাবে বিরোধী কাউন্সিলরদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি, এক্ষেত্রেও তাঁর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দলবাজি কাম্য নয়। তাই প্রত্যেকটি কাউন্সিলরকে এই কুপন বিলির সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যদিকে, রেশন নেওয়াকে কেন্দ্র করে শহর কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং শহরতলি সহ জেলার একাধিক জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই বিশৃঙ্খলার অভিোগ এসেছে। কিন্তু তার ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গেল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। বেশ কিছু রেশন দোকানের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল দাগ দিয়ে গ্রাহকদের দাঁড়ানোর জায়গা করা হচ্ছে। কিন্তু এবার অভিনব ব্যবস্থা করলেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপি ঘোষ। তাঁর এলাকায় রেশন দোকানের বাইরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চেয়ারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। রেশন দোকানের বাইরে লম্বা লাইন। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অনেক বয়স্ক লোকেরা আসছেন রেশন নিতে। এমন অবস্থায় চেয়ারের ব্যবস্থা হলে তাঁরা একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর কষ্ট সহ্য করতে হবে না গ্রাহকদের। তাই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন বাপি ঘোষ।
