কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
বর্তমানে ওই কর্তা উত্তরবঙ্গের একটি জেলার ভূমি ও ভূমি সংষ্কার দপ্তরে কর্মরত। অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনায় থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক জমির মূল্য তিনি কম দেখিয়েছেন। যার জেরে সরকারের প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। তিনি উত্তরবঙ্গে বদলি হয়ে যাওয়ার পর অ্যাসেস করতে গিয়ে দেখা যায়, জমির মূল্য সঠিক নেই। পরবর্তী সময়ে সেই সব জমি হাতবদল করতে গিয়ে রেজিস্ট্রির সময় এই তথ্য সামনে আসে। বিভাগীয় তদন্তে দেখা যায়, স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ যে অর্থ সরকারের ঘরে আসা উচিত ছিল, সেই পরিমাণ টাকা আসেনি। কারণ তিনি জমির মূল্য কম দেখিয়েছেন। ভূমি দপ্তর তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে কাগজপত্র খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা মেলে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি দপ্তর দুর্নীতি দমন শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগ পেয়ে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহের শেষের দিকে দুর্নীঁতি দমন আইনে মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট শাখা।
তার ভিত্তিতেই এদিন ওই ডব্লুবিসিএস আধিকারিকের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন শাখার একটি টিম। সূত্রের খবর, তার বাড়ি থেকে মিলেছে থেকে একাধিক সরকারি নথি, যা তার কাছে থাকার কথা নয়। পাশাপাশি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, বাংলো সহ একাধিক বাড়ি-জমির নথি, অলঙ্কার সহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। তিনি যে আয় করেন, তার সঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সাযু্জ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা রুজু করা হতে পারে বলে দপ্তর সূত্রে খবর।