কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
তবে বৈঠক হলেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি নিয়ে বিশেষ আশাবাদী নন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কী হবে জানি না। এখনও পর্যন্ত ওই প্রকল্পে কোনও টাকা আসেনি। তবে এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘জলধারা’ প্রকল্পে গ্রামের ঘরে ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে এখন প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ বসবাস করেন। তার মধ্যে প্রায় ৫৯ শতাংশ মানুষ এখন পাইপের জল পাচ্ছেন বলে সরকারের দাবি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামের সব মানুষের কাছে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া তাঁদের লক্ষ্য।
গত বছরের ১৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জেজেএম প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এর লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামীণ ভারতের ১৭.৮৭ কোটি পরিবারের ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১৪.৬ কোটি বাড়িতে (৮১.৬৭ শতাংশ) এখনও পাইপের জল পৌঁছয়নি। এই প্রকল্পটিতে মোট ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। প্রকল্পের আর্থিক দায়ের একটি অংশ অবশ্য রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অধিকাংশ রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য ৫০:৫০ অনুপাতে খরচ করবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও হিমালয় সংলগ্ন কয়েকটি পাহাড়ি রাজ্যের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্র দেবে। প্রকল্প রূপায়ণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রের তহবিল থেকে সব মিলিয়ে ২ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা।
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে ’২০-২১ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের জন্য ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গোটা দেশের নিরিখে এই অর্থের পরিমাণ খুবই কম বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন। চলতি ১৯-২০ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। ওই প্রকল্প খাতে এখনও কোনও কেন্দ্রীয় অর্থ না পেলেও, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা এব্যাপারে কিছু বলেন কি না, তার অপেক্ষায় রয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পটির যে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, যে রাজ্য ভালো কাজ করবে, তারা ইনসেনটিভ পাবে। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে যে টাকা পাঠাবে, তা একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। কেন্দ্র টাকা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে তার প্রদেয় টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে।