বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
রাজ্যে শহর এলাকায় ১ কোটি ২০ লক্ষ বাড়ি আছে। প্রতি বাড়িতে জঞ্জাল পৃথকীকরণ করার জন্য দুটি করে বিন দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ বাড়িতে এ ধরনের বিন দেওয়া হয়েছে। আরও ৩০ লক্ষ বিন দেওয়ার জন্য টেন্ডার করে অর্ডার করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের উপরে বিশেষ জোর দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এজন্য এদিন একটি কর্মশালা হয়। সেখানে সব পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মেয়রকে ডাকা হয়।
এদিন বৈঠকে হলদিয়া, রানাঘাট, উত্তর বারাকপুর, বারুইপুর, কালিয়াগঞ্জ, শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যানরা জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে তাঁদের এলাকার সমস্যার কথা বলেন। এই ধরনের মিটিং করার জন্য প্রশংসা করেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। এদিন তাঁকে মঞ্চে ডেকে বসানো হয় এবং বক্তৃতা করতে বলা হয়। তবে তাঁর পুরসভায় জঞ্জাল পৃথকীকরণের কাজ সেভাবে হচ্ছে না বলে বৈঠকে পুর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। জঞ্জাল অপসারণে পুর দপ্তরের পরিকল্পনা এবং কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করেন পুরসচিব সুব্রত গুপ্ত।
তবে দু-একটি পুরসভার জঞ্জাল অপসারণের কাজে অসন্তুষ্ট পুর দপ্তর। এদিন বৈঠকে সেই অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করেন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাজ করতে না পারলে পদত্যাগ করুন। অন্য লোক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তবে জঞ্জাল অপসারণের কাজ দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই সেই কাজ করতে হবে। ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে আমাদের সমস্যা আছে। জঞ্জাল ফেলার জায়গার অভাব রয়েছে। এর জন্য জমি খোঁজ করতে হবে। কিন্তু যেভাবেই হোক, জঞ্জাল অপসারণ করতে হবে। যেখানে সেখানে জঞ্জাল ফেলা যাবে না।
তবে এদিনের বৈঠকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আলোচনা হয়। এজন্য স্বাস্থ্য দপ্তর একটি ‘অ্যাপ’ চালু করতে চলেছে। সেই অ্যাপ এদিন সব পুরসভার চেয়ারম্যানকে দেখানো হয়। সেই সঙ্গে সব পুরসভায় শৌচালয় তৈরির কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যেসব পুরসভায় এখনও সর্বত্র শৌচালয় তৈরি হয়নি, সেখানে ৩১ মার্চের মধ্যে সেই কাজ শেষ করতেই হবে। রামজীবনপুর, নলহাটি, সাঁইথিয়া ও রামপুরহাট পুরসভাকে এদিন নির্মল পুরসভা বলে ঘোষণা করা হয়। যেখানে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম হয় না। সর্বত্র শৌচালয় তৈরি হয়েছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, সারা বছর আমরা কাজ করে থাকি। আমাদের সেই কাজের ধারা বজায় রাখতে হবে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নাগরিক পরিষেবার কাজ দিতে হবে।