কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
সিপিআইয়ের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি ও দলের ছাত্র-যুব সংগঠন নেতাজির জন্মদিন এবং দলের প্রবাদপ্রতিম নেতা প্রয়াত ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত’র জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এদিন চলতি নাগরিকত্ব বিতর্ক নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আয়োজিত এদিনের এই সমাবেশে সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, লিবারেশনের দীপঙ্কর ভট্টাচার্যদের পাশাপাশি বক্তা হিসেবে ডাক পড়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রেরও। তাঁর পরিবর্তে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখলেও সোমেনবাবু আগাগোড়া মঞ্চে ছিলেন। ছাত্র পরিষদের তরফে কানহাইয়াকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভিনন্দনও জানানো হয়। প্রত্যাশিতভাবে কানহাইয়াই ছিলেন এদিন মুখ্য এবং শেষ বক্তা। সমবেত জনতার মধ্যে সিংহভাগ তরুণ প্রজন্মের হওয়ায় সিপিএমের মহম্মদ সেলিমও বাম নেতৃত্বে কানহাইয়াদের গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেন। তাঁর কথায়, দেশে যখনই কোনও ‘শাসক’ কংসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখনই তাঁকে দমন করতে ‘কানহাইয়া’দের জন্ম নিতে হয়।
কানহাইয়া এদিন বলেন, নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপি সরকার চেয়েছিল দেশের মানুষকে বিভাজিত করে রাজনৈতিক ফয়দা লুটবে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে সংবিধান রক্ষার জন্য দেশের মানুষ আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আর এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছে ছাত্রসমাজ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে শুরু হয়েছে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম। জেএনইউ-এর ঐশী ঘোষদের মাথা ফাটিয়ে যে কোনও লাভ হয়নি, সেটা মোদি সরকার ও সংঘ পরিবার টের পেয়েছে। আজ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি পর্যন্ত একত্রে চলার পথ দেখতে বাধ্য হয়েছে। এই ধরনের আন্দোলনে বরাবরই বামেরাই পুরোভাগে থাকে। কিন্তু সেই বাম নেতৃত্বে এখন স্থবিরত্ব এসেছে। যদি নাগরিকত্ব ইস্যুতে আমাদের সাফল্য পেতে হয় তাহলে ঐশী ঘোষদের মতো তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বকে সামনে আনতে হবে। বাংলায় এটা আরও বেশি জরুরি বিজেপি’র বিভাজনের কৌশল ঠেকাতে। সেলিম, দীপঙ্কর, প্রদীপবাবুরা এদিন এক সুরে বলেন, সংঘ পরিবারের পরিকল্পনার মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই এখন একমাত্র পথ।