কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
হালকা বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেত। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা সম্পদরঞ্জন পাত্র জানিয়েছেন, এই বৃষ্টি চাষের পক্ষে খারাপ তো বটেই। জেলা থেকে রিপোর্ট আসার পর বোঝা যাবে ক্ষতির মাত্রা কতটা। তবে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, এখন বহু চাষি ফসল বিমা করিয়ে রাখেন। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে যাঁরা চাষ করেন, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ফসল বিমা করাতে হয়। কিন্তু এখন এর বাইরেও অনেক চাষি ফসল বিমা করাচ্ছেন। রাজ্য সরকার এখন নিজস্ব উদ্যোগে ফসল বিমা শুরু করেছে। বিমার প্রিমিয়ামের টাকা পুরোটাই রাজ্য সরকার বহন করে।
তবে বিমার ক্ষতিপূরণের টাকা পেলে চাষিদের আর্থিক ক্ষতি অনেকটাই প্রশমিত হবে। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টির জন্য ফসলের যে ক্ষতি হবে, তা সামগ্রিকভাবে রাজ্যের পক্ষে খারাপ। কারণ এতে ধান উৎপাদন মার খাবে। রাজ্যে যে মোট ধান উৎপাদিত হয়, তার বেশিরভাগটা হয় এই সময়ে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোরালো হাওয়ায় ধান গাছ নুয়ে পড়লে ফলনের ক্ষতি হবে। ধান এই সময় প্রায় পেকে এসেছে। এই সময়ে জমিতে বৃষ্টির জল জমে থাকা ফসলের ক্ষতি করে। বেশি বৃষ্টি হলে জমিতে জল কয়েকদিন দাঁড়িয়ে থাকবে। কৃষি দপ্তরের আবহাওয়াবিদ মৃণাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টি ধানের ফলন কমার পাশপাশি নিম্নমানের উৎপাদন হতে পারে।
এই বৃষ্টিতে মাঠে থাকা সব্জির ক্ষতি হবে। এখন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপকভাবে শীতের সব্জি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বেগুন প্রভৃতির চাষ চলছে। মাঠে বেশি জল জমলেই সব্জি পচে নষ্ট হতে পারে। সব্জি বেশি জল সহ্য করতে পারে না। এই সব্জি ডিসেম্বর মাসে বাজারে আসত। ফলে আগামী মাসেও বাজারে সব্জির বাজারে দামে প্রভাব ফেলতে পারে বুলবুল। এমনিতেই সব্জির দাম এখন বেশ চড়া। ফলে আগামী দিনে বুলবুল বেশ বিপাকে ফেলতে পারে সাধারণ মানুষকে।