কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রের খবর, সাবস্টেশনগুলি যেসব বিদ্যুৎবাহী তারের সঙ্গে যুক্ত, সেইসব তার ঝড়ের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলি বসে যায়। কোথাও তারে গাছ পড়ে আবার কোথাও পোল ভেঙে তারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মোটের উপরে সাব স্টেশনগুলির সঙ্গে যুক্ত ১০০টি লাইনে ক্ষতি হয়েছিল। তার মধ্যে ৮৫-৮৬টি লাইন রবিবার বিকেলের মধ্যেই ঠিক করে দেওয়া হয়। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব প্রসঙ্গে দপ্তরের এক কর্তা বলেন, কেবলমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরেই ৮৯২টি পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২৬টি ট্রান্সফর্মারের ক্ষতি হয়েছে ওই জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
সংস্থার এক কর্তা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দ্রুত সামাল দিতে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কর্মী-আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। বিদ্যুৎ ভবনে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং নদীয়ায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সেগুলি আজ, সোমবার পর্যন্ত সচল থাকবে। তারপরও দরকার পড়লে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হবে। গরমে বিদ্যুৎ পরিষেবা কোনও কারণে ব্যাহত হলে ফ্যান বা এসি না চলায় গ্রাহকরা খুব স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েন। কিন্তু, আবহাওয়ার পরিবর্তনে বর্তমানে গরম কমেছে। এলাকায় কাজ করা কর্মী-অফিসারদের কাছে এবারে অনেকে বলেছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছিলেন গ্রাহকরা।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুতের কর্মী-ইঞ্জিনিয়াররা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ করছেন। ঝড়ের জন্য বহু পোল পড়ে গিয়েছিল। সাবস্টেশন বসে গিয়েছিল। শনিবার রাত থেকেই রক্ষণাবেক্ষণের অতিরিক্ত টিম মাঠে নেমে কাজ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়।