কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবলু সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয় রাজ্যপালকে। কোনও রকমে তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনা হয়। এরপরই রাজভবনের তরফে রাজ্যের কাছে জেড প্লাস সিকিউরিটি চাওয়া হয়। এর মাঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, রাজ্যপালকে জেড প্লাস সিকিউরিটি দেবে সিআরপিএফের সিকিউরিটি উইং। এই নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে দিল্লির বিরোধ চরমে ওঠে। নবান্নের তরফে চিঠি পাঠানো হয় মন্ত্রকের কাছে। তাতে বলা হয়, রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের। এও জানানো হয়, তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্র তার সিদ্ধান্তে আটল থাকে।
এর মাঝে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সিআরপিএফের কর্তারা ও লালবাজারের কর্তারা বৈঠকে বসেন। সেখানে ঠিক হয়, রাজ্যপালের একেবারে কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কলকাতা পুলিস থাকবে। সিআরপিএফ সূত্রে খবর, ২৮ জন নিরাপত্তা কর্মী থাকছেন রাজ্যপালের নিরাপত্তায়। নেতৃত্বে থাকবেন একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট। তিন শিফটে ডিউটি করবেন নিরাপত্তা কর্মীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর এক শীর্ষকর্তার কথায়, তাঁরা অ্যাডিশনাল সিকিউরিটি দিচ্ছেন রাজ্যপালকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই ইস্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্য নিজের জেদ বজায় রাখল। বুঝিয়ে দিল, কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। সিআরপিএফের কাদের ডিউটি দেওয়া হবে, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁরা রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নেবেন। ওই দিন রাজ্যপাল প্রথমে বেটন কাপের উদ্বোধন করবেন। সেখান থেকে গুরু নানকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ডানলপে যাবেন। এই অনুষ্ঠান শেষে সড়কপথে রাজ্যপালের শান্তিপুর রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে শ্রীচৈতন্যের বংশধরদের রাসমেলার অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা তাঁর। এদিকে, শান্তিনিকেতনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার রাজ্যে এসেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁকে দুর্গাপুর বিমানবন্দরে স্বাগত জানান রাজ্যপাল। এখান থেকে দু’জনেই শান্তিনিকেতনের উদ্দেশে রওনা দেন।