কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হল বনগাঁ। মতুয়া অধ্যুষিত এই এলাকাকে ‘টার্গেট’ করে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভিত্তিক কর্মিসভা করেছেন রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সি। নেতা-কর্মীদের মনোমালিন্য দূর করে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও লোকসভা কেন্দ্রের দুই পুরসভা বনঁগা ও গোবরডাঙা নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে দলের অন্দরে। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠে এসেছে। এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছেন না বলে দলের কাছে রিপোর্ট এসেছে। তারপরেই কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব বনগাঁ ও গোবরডাঙার চেয়ারম্যানকে ফোন করে কার্যত ধমক দিয়েছেন। তৃণমূলের একটি বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, দুই চেয়ারম্যানকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফল ভালো না হলে আগামী দিনে কপালে দুঃখ আছে। কারও সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু জল সবার ঊর্ধ্বে। আগে দলকে জেতান, পরে অন্য কথা। সুব্রত বক্সি দলীয় বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বের সেই নির্দেশিকাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সোমবার।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। একটি ওয়ার্ডে নির্দল, একটিতে কংগ্রেস ও বাকি একটি ওয়ার্ডে জয়ী হয় বিজেপি। অন্যদিকে, গোবরডাঙা পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে জয়ী হয় তৃণমূল আর একটিতে সিপিএম। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে এই দুই পুর এলাকাতেই ফারাফ ফল হয় তৃণমূলের। বিধানসভা নির্বাচনেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। এবার লোকসভা ভোটে সেই ধারায় বদল আনতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশিকা দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের ফলাফলকে ধরে রাখা। আশা করছি, তা বজায় থাকবে। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে আমরা ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছি। গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত বলেন, নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে কাজ চলছে। গতবার বিজেপি ধর্মের জিগির তুলে ভোট পেয়েছিল। মানুষ ওদের বুঝে গিয়েছেন। দলীয় প্রার্থী গোবরডাঙা থেকে লিড পাবেন, নিশ্চিত বলতে পারি।