কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বৈষ্ণবনগরে রায়হানের সমর্থনে সর্বোচ্চ ব্যবধান গড়ার আবেদনও করেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন অভিষেক। মঙ্গলবার বিকেলে কালিয়াচক-৩ ব্লকের চরি অনন্তপুরে মালদহ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেন অভিষেক।
গত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে মালদহ এবং পরে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রটি রয়েছে কংগ্রেসের দখলে। তাই এদিন অভিষেক বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন অভিষেক বলেন, মালদহ দক্ষিণের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ছ’টি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। সব মিলিয়ে মালদহ দক্ষিণে বিপুল ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। রায়হানকে তাই তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে জেতাতে হবে। বৈষ্ণবনগর (কালিয়াচক-৩ ব্লক) থেকে সর্বোচ্চ ব্যবধানে এগিয়ে রাখতে হবে রায়হানকে। তবেই বিরোধীদের মুখের মতো জবাব দেওয়া হবে। কংগ্রেসকে বিঁধে অভিষেকের মন্তব্য, ঘরে বসে বসে যাঁরা বিজেপিকে পরোক্ষ সাহায্য করে চলেছেন, সেই গদ্দারদের বিরুদ্ধেও আজ কথা বলতে এসেছি। বিজেপিকে হারানো যেমন আমাদের লক্ষ্য, যাঁরা দিনের পর দিন এখান থেকে ভোটে জিতে নির্বাক হয়ে বসে থেকেছেন, তাঁদেরও সরাতে হবে।
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে অভিষেক এদিন বলেন, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনার টাকা আটকে রাজ্যের মানুষকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা বারবার দিল্লিতে গিয়ে আওয়াজ তুলেছি। আমাদের সাংসদদের নিগ্রহ করা হয়েছে। অথচ কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী এবং আপনাদের সাংসদ রা কাড়েননি। এমনকী যখন সিএএ’র মতো জনবিরোধী আইন কেন্দ্র পাশ করেছে, প্রতিবাদ করেছে একমাত্র তৃণমূল। রাজ্যের দুই কংগ্রেস সাংসদ চুপ করে থেকেছেন। তাঁরা আসলে বিজেপিকেই সাহায্য করেছেন। এদিন নাম না করে অভিষেক তীব্র কটাক্ষ করেন মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীকেও। তিনি বলেন, যিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে সুজাপুরে তৃণমূলের কাছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন, তাঁর লজ্জাও নেই। এবার আবার লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন কংগ্রেসের হয়ে। আসলে তাঁর লক্ষ্য একটাই। ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করা। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নাম উহ্য রেখে আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, নিজেকে নির্ভয়া দিদি বলে পরিচয় দেন এখানকার বিজেপি প্রার্থী। আসলে তিনি ‘নির্মম দিদি’।
পাশাপাশি, এদিনের সভা থেকে অভিষেক খতিয়ান দিয়ে বলেন, শুধু মালদহে কয়েক লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, বিনা পয়সায় রেশন, সংখ্যালঘু প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। মানুষের কাজ করি বলে রিপোর্ট কার্ড পেশ করতে পারি। বিজেপির হিম্মত থাকলে ওরাও বলুক মানুষের জন্য কী করেছে!
এদিনের সভামঞ্চে জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সভার সাংসদ মৌসম নুর, রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতানেত্রী হাজির ছিলেন। অভিষেকের সভায় ভিড়। নিজস্ব চিত্র