Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’। সেই সুযোগে নিশীথবাবুর কেন্দ্রেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে পিটিয়ে ভোটের ‘প্রথম সকালে’ বেড়াল মারতে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তাতে বিজেপির লাভ হল নাকি ক্ষতি, সেটা পরে বোঝা যাবে। তবে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও মহিলাদের লম্বা লাইন গেরুয়া শিবিরের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। কারণ, বাংলায় নরেন্দ্র ‘মোদির গ্যারান্টি’কে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।
‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা।’ কথাটি কংগ্রেস নেতা দেবকান্ত বড়ুয়ার। সালটা ছিল ১৯৭৬। তার কয়েক মাস আগেই দেশে লাগু হয়েছে জরুরি অবস্থা। খর্ব হয়েছে মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধিতা করলে জেলযাত্রা ছিল অনিবার্য। তেমনই এক পরিস্থিতিতে দেবকান্ত বড়ুয়ার এই মন্তব্য। দেবকান্তবাবু কংগ্রেসের সভাপতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমনকী রাজ্যপালও হয়েছিলেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। কিন্তু তিনি বিখ্যাত এবং একই সঙ্গে সর্বাধিক সমালোচিত হয়েছিলেন তাঁর এই মন্তব্যের জন্যই। নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন জনসভায় সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলছেন, মানুষ অহঙ্কার পছন্দ করে না। সেই অহঙ্কারের জন্যই দেশবাসী কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল।
একেবারে হক কথা বলেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল গোটা দেশ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পর্যন্ত সেই নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। মানুষ অহঙ্কারীকে অতীতেও পছন্দ করেনি, এখনও করে না, আগামী দিনেও করবে না। কিন্তু মোদিজি, আপনি নিজে কি সেই কথাটা বিশ্বাস করেন? নাকি শুধু কংগ্রেসকে আক্রমণের জন্যই ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে এনেছেন অতীতকে?
‘নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সকলের কথা খুব মন দিয়ে আগে শোনা। আমার এই ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতাটি রয়েছে। আমি কিন্তু নিজেও এই গুণটিকে নিয়ে চলি। আমার আরও একটি গুণ রয়েছে। তা হল আমি কখনওই কাজের সময় কে ফোন করল, কে মেসেজ করল, তা নিয়ে বিশেষ ভাবি না। আমি যখন কোনও কাজ করি, তখন নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে করি।’ বক্তা আর কেউ নন, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের ঢাক নিজে পিটিয়েছেন ‘বিশ্বগুরু’। এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি হল, গত দশ বছরে তিনি একবারও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। কারণ কথা শুনতে নয়, কথা শোনাতে তিনি ভালোবাসেন।
দেবকান্ত বড়ুয়াকে মানুষ মনে রেখেছে তাঁর ‘তৈলাক্ত মন্তব্যে’র জন্য। নরেন্দ্র মোদিকেও মানুষ যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে। কারণ রাষ্ট্রনায়ক হয়ে নিজের ঢাক নিজে পেটানোর এমন নজির অতীতে নেই, ভবিষ্যতে পাওয়ার সম্ভাবনাও অতীব ক্ষীণ। 
নির্বাচন আসতেই প্রধানমন্ত্রী ফের বাংলায় নিত্যযাত্রী হয়েছেন। ঘনঘন বাংলায় আসছেন। রাজনৈতিক ভাষণের মাঝে দু’চার লাইন বাংলাও বলছেন। বোঝা যাচ্ছে, তিনি বাংলা শিখছেন। এই সুযোগে ‘কে বড়’ ছড়াটা একবার মোদিজি পড়ে নিতে পারেন। তাতে বাংলার সংস্কৃতি, রুচি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা হবে। ‘আপনারে বড় বলে, সেই বড় নয়/ লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।... বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।’ 
এবার প্রচারের স্টাইল বদলে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদি। একুশের ভোটে তাঁর টার্গেট ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রতিটি জনসভায় তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি। তাই আর ‘দিদি, অ দিদি’ বলে কটাক্ষ নয়, এবার তাঁর হাতিয়ার ‘আমিত্ব’। তিনি দেশজুড়ে আত্মপ্রচারে নেমেছেন। তাঁর আত্মপ্রচারের ধাক্কায় কেন্দ্রীয় সরকার এখন হয়ে গিয়েছে ‘মোদি সরকার’, ভারতীয় জনতা পার্টি হয়েছে ‘মোদির পার্টি’। তাই দলীয় হোর্ডিং থেকে সরকারি বিজ্ঞাপন, সর্বত্রই মোদির জয়গান।
এখন চলছে ‘মোদির গ্যারান্টি’। তাঁর কথায় ‘মোদির গ্যারান্টি হল গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি।’ তিনি বলছেন, ‘২০১৪ সালে মোদিকে দেশের মানুষ চিনত না। কিন্তু ১০ বছরে তাঁকে দেশের মানুষ চিনেছে। তাই সঠিকভাবে নির্বাচন করবে।’ তাঁর নিজের কাজের উপর ভরসা থাকলে তাঁকে এত ‘গ্যারান্টি’ দিতে হচ্ছে কেন? ১০ বছর দেশ চালানোর পরও তাঁর এত গ্যারান্টি দেওয়ার কি কোনও প্রয়োজন ছিল? মোটেই না। কিন্তু তাঁকে দিতে হচ্ছে। কারণ ‘আচ্ছে দিনের’ স্বপ্ন দেখিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদি প্রায় কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেননি। 
বছরে দু’কোটি চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তা পূরণ যে হয়নি, বলাইবাহুল্য। উল্টে তাঁর আমলে দেশে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৪.৯ শতাংশ। এবছর ফেব্রুয়ারিতে  মাসে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। বাড়ছে অনাহারে, অর্ধাহারে, অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা। ২০১৮ সালে দেশে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৯ কোটি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৫কোটি। ক্ষুধা, বেকারত্ব সহ প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই ভারতের অবনতি স্পষ্ট। তাই বিরোধীদের কটাক্ষ, মোদির গ্যারান্টি মানে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার গ্যারান্টি।
এরাজ্যে লড়াইটা নরেন্দ্র মোদির ‘আমিত্বে’র সঙ্গে বাংলার ‘বহুত্ববাদে’র। বিজেপির সিএএ চালুর উদ্দেশ্য, একটি বিশেষ ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা। অন্যদিকে, বহুত্ববাদে বিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বাংলায় যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলেই দেশের নাগরিক। নরেন্দ্র মোদি মুখে বলছেন, ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ।’ অথচ বাংলার গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, বন্ধ আবাস যোজনার টাকা। বিকশিত হচ্ছেন মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতি। কালাধনও ফিরিয়ে আনতে পারেননি। নীরব মোদি, মেহুল চোকসিদেরও দেশে ফেরাননি। এসব দেখে দেশের মানুষ বুঝেছে, স্লোগানে ও প্রচারে নরেন্দ্র মোদিই সেরা। তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই। 
নরেন্দ্র মোদির প্রতিটি পদক্ষেপের একটাই লক্ষ্য, প্রচার। প্রচারের আলো কীভাবে নিজের দিকে ঘোরাতে হয় তা তিনি হাতেকলমে করে দেখিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। উনিশের নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রের প্রচার শেষ করেই পৌঁছে গেলেন অমরনাথ। সমস্ত সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিল ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রীর ছবি। করোনাকালেও তিনি লক্ষ্যচ্যুত হননি। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে ছাপানো হয়েছিল তাঁরই ছবি। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কলেজে ‘সেলফি জোন’ তৈরি করতে হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন। তবে, সেই সেলফি পয়েন্টের ব্যাকগ্রাউন্ডে নরেন্দ্র মোদির ছবি মাস্ট। এমনকী, কোন ইভেন্টে এবং প্রধানমন্ত্রীর কোন মুডের ছবি দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি হবে, সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। 
এখানেই শেষ নয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং বিভিন্ন কাজে আসা অতিথিদের সেই সেলফি পয়েন্টে ছবি তোলার ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ নির্দেশ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নিজের ইমেজ তৈরির এমন পরিকল্পনা অতীতের কোনও প্রধানমন্ত্রী করেননি। কিন্তু মোদিজি পেরেছেন। কারণ কে কী বলল, কে কী ভাবল, তার তিনি তোয়াক্কা করেন না। সেই জন্যই মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম বদলে তা নিজের নামে করে নিতে পেরেছেন। বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও মোদিজির আত্মপ্রচারের বিষয়টি বুঝে গিয়েছেন। তাই দলীয় সমাবেশে যত না ‘বিজেপি জিন্দাবাদ’ ধ্বনি ওঠে তারচেয়েও অনেক বেশি শোনা যায় ‘মোদি-মোদি’ চিৎকার। কর্মীদের সেকাজে উৎসাহিত করার জন্য মোদিজি আবার ভাষণের মাঝে ‘পজ’ও দেন।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘অহংবোধ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চোর। সে স্বয়ং ভগবানের সামগ্রীও নিজের বলিয়া দাবি করিতে কুণ্ঠিত হয় না।’ সঙ্ঘের বিস্তারক থেকে তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দু’বারের প্রধানমন্ত্রী। এবার স্বপ্ন শুধু ক্ষমতায় ফেরার নয়, ৪০০ ছোঁয়ার। মোদিজি, অহঙ্কার হয়তো আপনাকেই মানায়। কিন্তু সমস্যাটা কোথায় জানেন? বাংলা আমিত্বে নয়, বহুত্ববাদে বিশ্বাসী। এটাই রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা।
20th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
একনজরে
বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

10:49:17 PM