কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই প্রতিদিন দু’টি করে সভা করছেন। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে সভা ও রোড শো চলছে অভিষেকের। এছাড়া তৃণমূলের সর্বস্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং দলের ‘স্টার’ প্রচারকরা বিভিন্ন এলাকা চষে ফেলছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, যাবতীয় ব্যবস্থাপনাকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে বাঁধার চেষ্টা করেছে তারা। প্রচারের নির্ঘণ্ট তৈরি থেকে কমিশনে অভিযোগ জানানো, আয়োজিত কর্মসূচি নিয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া—সবই হচ্ছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে।
১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার আসনে। ২৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট আসনে। তীব্র গরমের সঙ্গে লড়াই করেই প্রচার চালাতে হচ্ছে সবাইকে। কোন দফায়, কোন এলাকায় ভোট রয়েছে, তার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকেরে জনসভা, পদযাত্রা ও জনসংযোগের কর্মসূচি নির্ধারিত হচ্ছে। তৃণমূলের ৪০ জন তারকা প্রচারক কবে, কোথায় প্রচার করবেন, তারও একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস থেকে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। আর তাকে যোগ্য সংগত দিচ্ছে আইপ্যাক। কিছুদিন আগে আইপ্যাক ‘গ্রাউন্ড সার্ভে’র কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে তাদের ফের সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। কোনও সভা বা রোড শো শেষ হলেই কর্মসূচির ফিডব্যাক নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছেন আইপ্যাকের কর্মীরা।
ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস থেকে দিনভর গোটা প্রচারপর্ব মনিটরিং করা হচ্ছে। বিতর্কিত কোনও ঘটনা সামনে আনা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমিশনে অভিযোগ জানানো ইত্যাদিও সুষ্ঠুভাবে চলছে। ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল, ইউ টিউব সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রতিদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে তৃণমূলের আইটি টিম। সবটা এক সূত্রে বেঁধে পরিকল্পিত ‘কর্পোরেট’ প্রচারেই ভরসা রাখছে জোড়াফুল শিবির।