কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে ভাতারের সভায় কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করেন। জেলার দুই প্রার্থী কীর্তি আজাদ এবং শর্মিলা সরকার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় দলের নেতা স্বপন দেবনাথ এবং প্রদীপ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। তবে ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না। নেত্রী মঞ্চে তাঁর খোঁজ করেন। তিনি বলেন, বনমালীদা অনেকদিন এখানে ছিলেন। আজ আসতে পারেননি। কাল বুধবার সভায় দেখা হবে।
বিজেপি নেতাদের তোপ দাগার পাশাপাশি জেলায় একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তৃণমূল নেত্রী বলেন, বর্ধমানে অনেক কাজ হচ্ছে। কালনা-শান্তিপুর সেতু তৈরি করে দিচ্ছি। দু’হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেতু তৈরি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বিকল্প রাস্তা হচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমানের দাসপুর থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত ওই রাস্তা হচ্ছে। বন্যার সময় ডিভিসি জল ছেড়ে দেয়। চাষের জমি নষ্ট হয়ে যায়। জল ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্লুইস গেট হচ্ছে। বর্ধমান অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার। আমরা চাষিদের থেকে ধান কিনি। ভোটের সময় বাইরের কিছু লোক অসবে। একটু বেশি টাকা দিয়ে তারা চাষিদের থেকে চাল কিনতে চাইবে। যাতে আমরা ফুড কর্পোরেশন থেকে চাল কিনতে বাধ্য হই। কৃষকদের বলব, চাল থাকলে সরকারকে বিক্রি করবেন। চাষিরা কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টকা পাচ্ছেন। বর্ধমান মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। আমরা মিষ্টিহাব তৈরি করেছি। মাটিতীর্থ তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপির কেউ কেউ বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৈফয়ত দাও। আরে কৈফয়ত তো বিধানসভা নির্বাচনের সময় দেব। আগে বলো তোমরা কী করেছো। তোমরা শুধু ভাগ করেছো। এছাড়া কিছু করোনি।
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় আরও দু’টি সভা করবেন। আউশগ্রাম এবং বুদবুদের সভাতেও ভিড় উপচে পড়বে বলে নেতৃত্ব আশাবাদী। এদিন তৃণমূল নেত্রীর সভায় মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল নেত্রী বলেন, বিজেপি বলছে ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। আমি বলি সাহস থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাত দিয়ে দেখান। এটা মায়েদের সম্মান। তাঁদের অধিকার। যতদিন বাঁচবেন ততদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন।