কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শহরের আদি বাসিন্দাকে প্রার্থী করে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মাস্টারস্ট্রোক দেওয়া হয়েছে, অমৃতাদেবীর নাম ঘোষণার সময় এমনটাই দাবি করেছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু, মনোনয়নপত্রের এফিডেফিট সামনে আসতেই সেই ফানুস চুপসে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে রাজপরিবারের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে নির্বাচন কমিশন বিজেপি প্রার্থীর এফিডেফিট প্রকাশ করে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় জানিয়েছেন, তিনি কলকাতার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাইট স্ট্রিটের বাসিন্দা। আর তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটার। এমনকী তাঁর নামে থাকা ৭ লক্ষ ৩ হাজার টাকা বালিগঞ্জের একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে। এই তথ্য সামনে আসতেই বিপাকে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। কারণ নাম ঘোষণার সময় কৃষ্ণনগর শহরের ‘ঘরের মেয়ে’কে প্রার্থী করা নিয়ে প্রচারে নামে বিজেপি। অতীতে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে ‘পর্যটক’ সাংসদ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। নদীয়ার করিমপুরের বাসিন্দা মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার নন, এনিয়ে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি প্রার্থীর এফিডেফিট সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা বছরই বন্ধ থাকে রাজবাড়ির দরজা। পরিবারের সদস্যদেরও খুব একটা দেখা পান না শহরবাসী। বিশেষ কোনও কারণ ছাড়া বাইরের লোক তো দূর, শহরের বাসিন্দারাও রাজার বাড়িতে পা রাখতে পারেন না। বাইরে থেকে পর্যটক এলে উঁচু পাঁচিলের ওপারে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুরনো প্রসাদ রয়েছে-এমনটা কল্পনা করেই চলে যেতে হয়। যদিও রাজপরিবারের গৃহবধূ প্রার্থী হওয়ায় বর্তমানে তা নিয়ে বিজেপি নেতারা ‘ব্যক্তিগত মালিকানা’র সাফাই দেন। শহরবাসীর অবশ্য এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। অনেকেই বলেন, ‘রাজপরিবারের কাউকেই আমরা দেখতে পাইনি। তাহলে তাঁরা কৃষ্ণনগরিক কী করে হলেন? শুধু বড় প্রাসাদটুকুই আছে।’ বিজেপি প্রার্থীর এফিডেফিট সামনে আসতে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে শহরবাসীর মধ্যেও।
কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রদীপ দত্ত বলেন, শহরের জন্য বর্তমান রাজ পরিবারের কোনও অবদান নেই। তাঁদের শহরবাসী দেখতেও পায় না। কারণ তাঁরা কলকাতায় থাকেন। তবে ভোটের সৌজন্যে রাজপরিবারকে শহরবাসী দেখতে পাচ্ছে। বিজেপি খুব করে প্রচার করছিল, তাদের প্রার্থী ভূমিকন্যা। এখন তারা কী বলবে? বিজেপির লিগ্যাল সেলের দায়িত্বে থাকা রমিত শীল বলেন, আমাদের প্রার্থী সবটাই নিজের এফিডেফিটে জানিয়েছেন। তৃণমূল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই এসব বলে হাওয়া গরম করতে চাইছে। কিন্তু, এতে কিছু হবে না। সাংবিধানিকভাবে প্রার্থী যে কোনও জায়গার ভোটার হতে পারেন। তবে আমাদের প্রার্থীর পরিচয় তিনি রাজ পরিবারের সদস্য।
নিজস্ব চিত্র