কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে প্রত্যেকদিনের অনুমোদিত নকশা নিয়মিত পুরসভার ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ওয়েবসাইটে বিল্ডিং বিভাগের কলামে সেই নকশা ‘আপলোড’ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গত ১০ বছর ধরে পুরসভা শহরে যত নতুন নির্মাণের নকশা অনুমোদন করেছে, সবটাই ওয়েবসাইটে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। পুরো তথ্যভাণ্ডার ‘ওপেন টু অল’ করে রাখা হচ্ছে। ফলে যে কোনও নাগরিক কোনও বাড়ির ঠিকানা বা ‘প্রেমিসেস নম্বর’ দিয়ে নকশা খুঁজে দেখে নিতে পারবেন, তা বৈধ নাকি অবৈধ। কোনও অভিযোগ থাকলে সরাসরি পুরসভাকে জানাতে পারবেন। পুরসভার উদ্দেশ্য, এভাবে নাগরিকদেরও অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত করে নেওয়া। অলিগলিতে বেআইনি নির্মাণ, যা সাধারণত পুরসভা বা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যায়, তা রুখতে সুবিধা হবে বলেও আশাবাদী পুরকর্তারা।
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ার পর বিল্ডিং সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়মকানুন কঠোর করছে পুরসভা। ইতিমধ্যে এর জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ অ্যাপ। বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট নির্মাণের ছবি ‘আপলোড’ করছেন সেই অ্যাপে। সেই অনুযায়ী কোনটা অবৈধ বা বৈধ, তা বোঝা যাচ্ছে। পাশাপাশি, অনুমোদিত বিল্ডিং প্ল্যান না থাকলে সম্পত্তি কর মূল্যায়ন হবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার নাগরিক সমাজকে গোটা প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে নয়া পদক্ষেপ করল তারা। এ প্রসঙ্গে পুরসভার এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘নিয়মিত নতুন বাড়ির নকশাগুলি আপলোড করে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাকআপ বানানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে অনুমোদন দেওয়া শহরের যাবতীয় বাড়ি, ফ্ল্যাট বা বহুতলের নকশা ওয়েবসাইটের তুলে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী কোনও নাগরিক যদি তাঁর পাড়ার কোনও বাড়ি বৈধ না অবৈধ জানতে চান, তাহলে তিনি সহজেই প্রেমিসেস নম্বর দিয়ে তা যাচাই করে নিতে পারবেন। কোথাও কোনও ছোট-বড় বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকলে সরাসরি পুরসভাকে জানাতে পারবেন সচেতন নাগরিক।’ ওই কর্তার আরও বক্তব্য, এত কিছুর পরেও অফিসারদের একাংশের গাফিলতি থেকে যায়। নানা রকম অভিসন্ধিও থাকে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শহরবাসী যদি গোটা প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, তাহলে অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।