কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সন্দেশখালির ঘটনা ও আন্দোলনের জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। সেখানে মহিলাদের উপর বেনজির অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভে শামিল হন এলাকার মহিলারা। পাশাপাশি, গায়ের জোরে জমি দখল, জোর করে চাষজমিকে ভেড়ি বানানোর মতো একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে আসে। এই ঘটনা থেকে ফায়দা তুলতে সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে পড়ে পদ্ম-পার্টি। রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে তারা বড়সড় চমক দেয়। একই সঙ্গে তারা সন্দেশখালি ইস্যুকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালায়। প্রার্থী রেখাদেবীকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোন যাবতীয় ঘটনাপ্রবাহে নতুন মাত্রা যোগ করে। বিজেপি সূত্রে খবর, সন্দেশখালির আন্দোলনে রেখার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরেই পাল্টা চাল দেয় বিজেপি। রেখার সমালোচনায় মুখর মহিলাদের নিয়ে তারা ‘সন্দেশখালি স্কোয়াড’ গড়ে। তারপর ওই মহিলাদের তারা রাজ্যের প্রতিটি লোকসভায় প্রচারে নিয়ে যেতে শুরু করে। তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতিদিনের ‘মজুরি’ও দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এ বিষয়ে বসিরহাট লোকসভায় বিজেপির কনভেনার তথা সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা বিকাশ দলুই বলেন, ‘মহিলাদের বঞ্চনা ও নির্যাতনের কথা তুলে ধরতে প্রায় ১০০ জন মহিলা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছেন দু’টি টিম করে। প্রার্থী নিয়ে কারও ভালো বা খারাপ লাগা থাকতেই পারে। এখন সমস্ত পরিস্থিতি ঠিকঠাক রয়েছে।’ সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, ‘বিজেপি বেকায়দায় পড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। মহিলাদের ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে প্রচার করাচ্ছে। বিজেপির অবস্থা কতটা খারাপ, সেটাই স্পষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া, নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে তো সিবিআই তদন্ত করছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে সবটাই সাজানো।’