কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গড়িয়াহাট ফুটপাতে ক্রেতাদের সেই চেনা ভিড় একেবারেই নেই। ভরদুপুরে দোকনিরা নিজেদের মধ্যে আড্ডায় মজেছেন। ক’দিন আগে এই অঞ্চলে প্রচার সেরে গিয়েছেন কলকাতা দক্ষিণের কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। হকারদের মধ্যেও প্রচার চালান তিনি। তা নিয়েই আড্ডা জমে উঠেছে কয়েকজন হকার ও দোকানদারের মধ্যে। ‘উনি তো বালিগঞ্জে ভোটের সময়ও (বিধানসভা উপ-নির্বাচন) এসেছিলেন প্রচার করতে। তখনই প্রথম জানতে পারি যে উনি হাসিম আব্দুল হালিমের বউমা’—বলছিলেন কাপড়ের দোকানের এক বয়স্ক কর্মী। বাঘা যতীনের বাসিন্দা এক বিক্রেতা তখন বলে উঠলেন, ‘তারপর থেকে আর একদিনও তো ওঁর মুখ দেখিনি! এখন আবার ভোট চাইতে এসেছেন। শখের পলিটিশিয়ান দিয়ে কি আর রাজনীতি হয়!’
ক’দিন আগেই গড়িয়াহাটে রোড শো করেছেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীও। কলকাতা দক্ষিণের মতো ‘হেভিওয়েট’ আসনে প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ময়দানে নামিয়েছে পদ্মশিবির। তাঁর জয়-পরাজয় নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে গড়িয়াহাটের হকার জোনের আড্ডায়। সেই আলোচনা মন দিয়ে শুনছিলেন রেডিমেড কাপড়ের এক ব্যবসায়ী। আচমকা তিনি বললেন, ‘আরে ওঁকে তো ওঁর দলই হারতে পাঠিয়েছে। দলেই তো দেবশ্রী ব্যাকফুটে।’ ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই কেন্দ্রে ভোট-প্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় হলেও জয়ী মালা রায়ের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। এবার প্রচার-পর্বে জনগণের হাতে হাতে দেবশ্রী কমল বিলি করেছেন। প্রচারে খামতি রাখছে না কোনও পক্ষই। তবে পথঘাটের জল্পনা বা আড্ডার ঠেকের ভোট-বিশেষজ্ঞদের মতামত নয়, শেষ কথা বলবে জনতাই। আর সেই রায় জানা যাবে আগামী ৪ জুন।