কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিজেপির হুগলি লোকসভা কমিটির চেয়ারম্যান সুবীর নাগ বলেন, ‘সিঙ্গুরে তৃণমূল ইতিহাস, বিজেপিই ভবিষ্যৎ।’ সিপিএম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষের কথায়, ‘সিঙ্গুরে এবার আমাদের সঙ্গেই লড়তে হবে তৃণমূলকে।’ সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘২০১৯ ব্যতিক্রমী বছর ছিল। এবার সিঙ্গুর ঘাসফুলকেই এক নম্বরে রাখবে।’ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান বলছে, সেবার সিঙ্গুরে তৃণমূল ৪৮.১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিল। বিজেপি ৩৫.৮ শতাংশ আর বামেরা ১৪.৩ শতাংশ ভোট পায়। বিজেপি এবং বামেদের প্রাপ্ত ভোটের মোট হার ৫০.১ শতাংশ। ২০১৬ সালে রাম ও বামের ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৭.৪০ ও ৩৯.৫০শতাংশ। যোগফল দাঁড়ায় ৪৬.৯০ শতাংশ। এর মাঝে ২০১৯ সালের লোকসভায় বিজেপির ভোটপ্রাপ্তির হার ছিল ৪৬.৮৫ ও বামেদের ৮.৮৬ শতাংশ। যোগফল প্রায় ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ, দু’দলের ভোটের শুধু ঘরবদল হয়েছিল। যদিও প্রশ্ন সেটা নয়। রাজনৈতিক মহল বলছে, শিল্প ও জমি নিয়েই বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত। সিঙ্গুরে কারখানা কেন্দ্রিক জমি আন্দোলনে বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গেই ছিল। তাহলে বামকর্মীদের ভোট বিজেপিতে গেল কেন? অর্থাৎ, ‘জমি’ আন্দোলন নিয়ে বামেদের নীতিগত লড়াই প্রশ্নের মুখে দাঁড়াচ্ছে। বিলম্বে হলেও প্রশ্নটা ঘুরছে বাসিন্দাদের মধ্যে, যা সিঙ্গুরের ফলাফলের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
‘জমি’র লড়াই আছে কীভাবে? ২০১৯ সালে লোকসভায় বিজেপি সিঙ্গুর থেকে ১১ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিল। সিঙ্গুরের মাটিতে তৃণমূলের পিছিয়ে পড়া চমকে দিয়েছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তৃণমূলের অন্দরমহলে গুঞ্জন, সেই সময় সিঙ্গুর আন্দোলনের দুই নেতা হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না ও সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মধ্যে লড়াই তুঙ্গে উঠেছিল। সেই রাজনৈতিক ‘জমি’ দখলের লড়াইয়ের খেসারত দিতে হয় রাজ্যের শাসক দলকে। পরে রবীন্দ্রনাথবাবু বিজেপিতে যোগ দেন। রাজনৈতিক মহল বলছে, ২০২১ সালে বিজেপি এবং রবীন্দ্রনাথবাবুকে হারিয়ে বেচারামবাবু সিঙ্গুরের ‘জমি’র উপরে তাঁর কর্তৃত্ব প্রমাণ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেই কর্তৃত্বের অ্যাসিড টেস্ট হবে এবারের লোকসভা ভোটে। সুতরাং ‘জমি’র লড়াই আছে এবং সেটি সিঙ্গুরের ফলাফলের অন্যতম নির্ণায়কও বটে। বৈপরীত্যের বাগানে ঐক্যের কোন সুরে সিঙ্গুর বাঁধা পড়ে, সেটাই দেখার।