পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
বর্তমানে হাওড়া ময়দান থেকে গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো ছুটছে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত। হাওড়া স্টেশন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী কলকাতায় যাওয়ার জন্য মেট্রোকে ব্যবহার করছেন। মেট্রোর এই পৌষ মাসে সর্বনাশ হচ্ছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণের। প্রতিদিন গড়ে টিকিট বিক্রি ৩০ হাজার টাকা কমে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ক্রমশ রুগ্ন দশার দিকে চলে যাচ্ছে ফেরি রুটগুলি। অথচ বছরের পর বছর ধরে এই ফেরি সার্ভিসই হাওড়া স্টেশন থেকে অফিস যাত্রীদের পৌঁছে দিয়েছে ওপারের অফিসপাড়ায়। জলপথ পরিবহণের কর্তাদের ধারণা, এভাবে চললে সংস্থার আর্থিক বুনিয়াদ অচিরেই ভেঙে পড়বে। তাই এখন থেকেই বিকল্প পথে ফেরি চালাতে তৎপর হয়েছে তাঁরা। চলছে নতুন রুটের খোঁজ। সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। একমাত্র এভাবেই বাঁচিয়ে রাখা যাবে হাওড়া-কলকাতার লঞ্চ পরিষেবাকে।
সমিতি সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে একটি রুট এবং হাওড়ায় একটি রুট নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। তবে বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কারণ রাজ্য সরকার বা পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তাদের অনুমতি মিললে তবেই নতুন রুট তৈরি সম্ভব। কী সেই সম্ভাব্য দুই নতুন জলপথ? প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সমিতির বোর্ডের চেয়ারম্যান রাইচরণ মান্না (বাপি) বলেন, কাশীপুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত লঞ্চ চালানোর একটি প্রস্তাব এসেছে। এ নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। এছাড়াও হাওড়া শহরে জি টি রোডে যানজট ক্রমশ বাড়ছে। জি টি রোড দিয়ে বালি থেকে হাওড়া স্টেশন আসতে প্রচুর সময় লাগে। তাই বালি ব্রিজের পাশের ঘাট থেকে হাওড়া পর্যন্ত লঞ্চ চালানো যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। সেক্ষেত্রে হাওড়া শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটা উন্নতি হবে। আর কোনও নতুন রুট তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়ে কথাবার্তা চলছে।
এদিকে, রাজ্য সরকারের থেকে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা পেয়েছে। তাদের ১৯টি লঞ্চ সেই টাকায় নতুন করে সারানো হবে। ফলে বেশ কিছু লঞ্চ চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে। নতুন রুট চালু হলে সেই লঞ্চগুলিকে ব্যবহার করা হবে।