শারীরিক দিক থেকে খুব ভালো যাবে না। মনে একটা অজানা আশঙ্কার ভাব থাকবে। আর্থিক দিকটি ... বিশদ
পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে সোদপুর থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত ৯.৬ কিমি ফোর লেন করার জন্য এবং বারাকপুরের সুভাষ কলোনি মোড় থেকে ওয়্যারলেস মোড় পর্যন্ত ১.৫ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণ করার জন্য মোট ৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। বারাকপুর শহরে এই ১.৫ কিমি রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার, দু’পাশে ৭ মিটার করে রাস্তা এবং দু’পাশে বক্স ড্রেনের উপর গ্রিল দিয়ে ফুটপাত করার কথা ছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকদার সংস্থা কাজ শুরুও করেছিল। সুভাষ কলোনি থেকে নিকাশির কাজ শুরু হয়েছিল। শুরু হয়েছিল ফোর লেনেরও কাজ। কিন্তু, গাফিলতির অভিযোগে বছর খানেক আগে ওই ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ থেকে বাতিল করা হয়। তারপর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।
সোদপুর থেকে মধ্যমগ্রাম রাস্তাটি খুবই ব্যস্ত। ফোর লেন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে। সুভাষ কলোনি মোড় থেকে ওয়্যারলেস মোড় পর্যন্ত অফিস টাইমে প্রতিদিন যানজট হয়। বিশেষ করে নোনাচন্দনপুকুর এলাকায় নিত্য যানজট লেগেই থাকে। পূর্তদপ্তরের দাবি, মূল কারণ রাস্তা ছোট। সম্প্রসারণ এবং ফুটপাত তৈরি হলেই এই সমস্যা মিটে যাবে। শহরের মানুষও হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন। তাই প্রকল্পটি নতুনভাবে বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে পূর্তদপ্তর। প্রথমবার টেন্ডারে কিছু কাজ হয়েছিল। তাই দ্বিতীয়বার প্রায় সাড়ে ৭১ কোটি টাকার টেন্ডার করা হবে।
পূর্তদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (বারাকপুর ডিভিশন) দেবব্রত রানু বলেন, ফোর লেনের কাজটি থেমে রয়েছে। ঠিকাদার সংস্থাকে ‘টার্মিনেট’ করা হয়েছে। আমরা নতুন করে টেন্ডার করিয়ে আবার কাজ শুরু করব। তার জন্য রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (বারাকপুর ডিভিশন-২) পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, সোদপুর ও মধ্যমগ্রামের মধ্যে যাতায়াতের রাস্তাটি পানিহাটি কলেজের কাছে খারাপ হয়ে আছে। সেখানে জলও জমে। তাই ফোর লেনের কাজ শুরু হওয়ার আগে আমরা পথশ্রী প্রকল্পে ওই ১.২ কিমি অংশ পুরো ক্রংক্রিটের তৈরি করে দিচ্ছি। শুক্রবার থেকেই কাজটির সূচনা হবে।