শারীরিক দিক থেকে খুব ভালো যাবে না। মনে একটা অজানা আশঙ্কার ভাব থাকবে। আর্থিক দিকটি ... বিশদ
নিমাইবাবু ১৯৫৭ সালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন। বাগনানের কল্যাণপুরে নিজের বাড়িতে প্র্যাকটিস শুরু করেন। একসময় রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে পরপর দু’বার বাংলা কংগ্রেসের বিধায়ক নির্বাচিত হন। যদিও পরে নিমাইবাবু সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যান। কিন্তু তিনি চিকিৎসকের আদর্শটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন আজীবন। স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর পর্যন্ত তিনি রোগী দেখেছেন। চেম্বার থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়াও করেন। তারপরই গুরুতর অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। শেষমেশ মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়েন। নিমাইবাবুর মৃত্যুর খবরে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন তাঁর অগণিত গুণগ্রাহীরা। কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র, প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক রবি মিত্র, যুব তৃণমূল নেতা সুকান্ত পাল প্রমুখ প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানান।
অসিতবাবু বলেন, সুনীলবাবু আজীবন সমাজসেবা করে গেলেন। সমাজ একটি অসাধারণ প্রতিভা ও মানবদরদিকে হারাল। ডাক্তার সুনীল মিত্রের চিকিৎসার বিশেষত্ব ছিল, তিনি প্রতিটি রোগী দেখার পর প্রেসক্রিপশন করতেন না। একসঙ্গে তিরিশ-চল্লিশজন জন রোগীকে দেখার পর একসঙ্গে সকলের প্রেসক্রিপশ লিখতেন!