নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানায় শিম্পাঞ্জি ‘বাবু’র জনপ্রিয়তা বরাবরই তুঙ্গে থাকে। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সেই ৩৬ বছরের শিম্পাঞ্জিকেই দত্তক নিলেন অভিনেত্রী তথা নাট্যব্যক্তিত্ব সোহিনী সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষি মৌলিক। আগামী এক বছরের জন্য বাবুর যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করলেন তাঁরা। দত্তক নেওয়ার চুক্তিপত্র অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাবুর সমস্ত দায়িত্ব সোহিনী এবং সপ্তর্ষির। তার খাওয়া-দাওয়া, ওষুধপত্র থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সমস্ত আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের যোগান দেবেন তাঁরা। সোহিনীর কথায়, ‘ছোটবেলা থেকেই জীবজন্তুর প্রতি আমার বিশেষ টান রয়েছে। সম্প্রতি চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে পশুপাখিদের দত্তক নেওয়ার পলিসি সম্পর্কে জানতে পারি। তবে গোটা পরিকল্পনাটা সপ্তর্ষির। আমি শুধু সায় দিয়েছি।’ এক বছর পর পলিসি শেষ হলে ফের অন্য কোন প্রাণীকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, সোহিনী এবং সপ্তর্ষি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। বাবু চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ। আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ চায়, সোহিনীদের দেখাদেখি অন্যরাও পশুপাখিদের দত্তক নেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে আসুক।
২০১৫ সাল থেকে চিড়িয়াখানার পশু-পাখিদের দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। বার্ষিক নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষ পশু-পাখি দত্তক নিতে পারেন। শিম্পাঞ্জির জন্য সেই খরচ বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা। জাগুয়ার ও রয়্যাল বেঙ্গল দত্তক নিতে গেলে বার্ষিক খরচ পড়বে ১ লক্ষ টাকা। তবে, সিংহ এবং হাতির ক্ষেত্রে বছরে দু’লক্ষ টাকা খরচ হবে।