শারীরিক দিক থেকে খুব ভালো যাবে না। মনে একটা অজানা আশঙ্কার ভাব থাকবে। আর্থিক দিকটি ... বিশদ
সম্প্রতি ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে মিউটেশন না হওয়ার কথা জানিয়ে ফোন করেছিলেন পিকনিক গার্ডেনের এক বাসিন্দা। ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তির পুরনো বাড়ি প্রোমোটিং করে নতুন ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। তার পরেও গত চার বছর ধরে আটকে রয়েছে মিউটেশন। অবশেষে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপে সেই সমস্যার সমাধান হয়। শুধু ওই ব্যক্তি নয়, এই অনুষ্ঠানে প্রতিদিনই মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে অন্তত দু’-তিনটি করে ফোন আসে।
কলকাতা পুরসভার তথ্য বলছে, গত এপ্রিল মাস থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে প্রায় ৩২০ জন মিউটেশনের আবেদন জানিয়েছেন। তার মধ্যে মাত্র ৭০টি আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। অন্যদিকে, অফলাইনে গত এক বছরে মিউটেশনের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় সাড়ে ২০ হাজার। সেখানেও ৫০-৬০ শতাংশের বেশি মিউটেশন অনুমোদন করা হয়নি। ইতিমধ্যেই সেই সমস্যা মেটাতে কলকাতা পুরসভা নিজেদের ওয়েবসাইটে বিশেষ সুবিধা তুলে ধরেছে। ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। যেখানে আবেদন করার পর মিউটেশন সংক্রান্ত ফাইল কোন জায়গায় রয়েছে, কী অবস্থায় রয়েছে, তার সবটাই অনলাইনে জানতে পারবেন আবেদনকারী। সেইসঙ্গে সপ্তাহখানেকের মধ্যে মিউটেশন না হলে কী কারণে দেওয়া যায়নি, বা আর কী কী নথি প্রয়োজন, তাও আবেদনকারীকে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা আছে, সেকথা স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। যদিও পুরোটাই নানাবিধ জটিলতার কারণে হতে পারে বলে তাদের মত। পুর কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, সমস্ত নথি ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত মিউটেশন মিলছে। যেসব ক্ষেত্রে গোটা সম্পত্তি হস্তান্তর হচ্ছে, সেই সব ক্ষেত্রে দিনের দিন মিউটেশন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কখনও যদি কোনও সম্পত্তির কোনও অংশ আলাদা করে বিক্রি হয়, সেক্ষেত্রে মিউটেশনের সময় পুরনো সম্পত্তির বকেয়া কর দেখা হচ্ছে, সেখানে নতুন করে অ্যাসিসি নম্বর তৈরি করতে হচ্ছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সময় লাগছে। পাশাপাশি, বর্তমানে ওয়েভার স্কিম নিয়ে আধিকারিকরা চাপে থাকায় মিউটেশন দেওয়ার প্রক্রিয়াতেও চাপ পড়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই হিয়ারিংয়ের প্রয়োজন হয়। ফলে অনেক সময় নির্দিষ্ট দিনে হিয়ারিংয়ে আবেদনকারী উপস্থিত না থাকলে আবার দিন পিছিয়ে যায়। সেইসঙ্গে এখন বিভাগীয় কর্মী আধিকারিকরা ওয়েভার স্কিম নিয়ে নানাভাবে ব্যস্ত। তাই তাঁদের উপরেও কাজের বাড়তি চাপ রয়েছে।