শারীরিক দিক থেকে খুব ভালো যাবে না। মনে একটা অজানা আশঙ্কার ভাব থাকবে। আর্থিক দিকটি ... বিশদ
প্রশান্ত ব্যানার্জি: গত দু’দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ঘটনা নিয়ে খুবই চর্চা চলছে। এটিকে মোহন বাগান বনাম মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের শেষ লগ্নে যা ঘটেছে তা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। একজন প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে মনে করি, এটা খুবই দুঃখজনক। এর জন্য সবার আগে আমি রেফারিকে দায়ী করব। তিনি যদি আরও বেশি তৎপরতার সঙ্গে গোটা বিষয় পরিচালনা করতেন, তাহলে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত না। একজন ফুটবলার মাটিতে পড়ে থাকার সময় কী করে সন্দেশ ঝিংগান তাকে লাথি মারে! আর তারপর তিরি গিয়ে তার জার্সি টেনে তুলে ধরার চেষ্টা করে। আইএসএলের মতো দেশের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে এমন দৃশ্য কখনই কাম্য নয়। পাড়ার টুর্নামেন্টেও এমন ঘটে না।
একজন খেলোয়াড়ের চোট লাগলে বিপক্ষের ফুটবলার তার কাছে গিয়ে চোটের ধরন জানতেই পারে। তবে তার মধ্যে সৌজন্যবোধ থাকা উচিত। এটা নয় যে, তুমি ম্যাচে পিছিয়ে আছ বলে সময় নষ্টের হাত থেকে বাঁচার জন্য যা খুশি করবে। আমি চাই, সন্দেশ ও তিরির পাশাপাশি রেফারিকেও শাস্তি দেওয়া হোক। এমন অখেলোয়াড়োচিত আচরণ কখনই মেনে নেওয়া যায় না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আগামী দিনে এমন দৃশ্য আকছার ঘটবে। তখন এই ঘটনার উদাহরণ টেনে অভিযুক্তরা বাঁচার চেষ্টা করবে। আজ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে। তাই মাঠের উত্তেজনা গ্যালারিতে ছড়ায়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে দর্শক থাকবে। তখন তো এই ঘটনার প্রভাব অনুরাগীদের মধ্যে পড়তেই পারে। আশা করছি, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সঙ্গে যুক্ত থাকা সদস্যরা গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিচার করবেন।
সবার শেষে একটা কথা না বললেই নয়, এবারের আইএসএলে রেফারিংয়ের মান খুবই নিম্নমানের হচ্ছে। যত ম্যাচ দেখছি, ততই হতাশ হচ্ছি। এই লিগকে দেশের সর্বোচ্চ লিগের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিদেশি ফুটবলার, বড় মাপের কোচ আনা হচ্ছে। অথচ রেফারিদের উন্নতির দিকে কোনও নজর দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনে বিদেশি রেফারিদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করাতে হবে। তবেই প্রকৃতভাবে দেশের ফুটবল উন্নতির দিকে এগবে। পাশাপাশি ফুটবলাররাও অনেক বেশি পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম হবে।