শারীরিক দিক থেকে খুব ভালো যাবে না। মনে একটা অজানা আশঙ্কার ভাব থাকবে। আর্থিক দিকটি ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, ফরাক্কা, লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। বীরভূমের লোহাপুর, মুরারইয়েও তাঁর প্রচুর অনুগামী রয়েছেন।
এছাড়া মালদহ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় দাপট রয়েছে। এনামুলকে জেলে ভরে দিয়ে একদা তাঁরই ঘনিষ্ঠর পেশিবল এবং ‘মানি পাওয়ার’কে কাজে লাগিয়ে কয়েকটি বিধানসভা আসন দখলের ছক কষেছে গেরুয়া শিবির। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুলের এক সময়ের অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন তাঁর এই আত্মীয়। কোথায়, কীভাবে কাকে সেটিং করে গোরু পাচার করতে হবে, তা তিনিই ঠিক করতেন। সেইসময় থেকেই অন্ধকার জগতের রাশ তাঁর হাতে থাকলেও কখনোই ওই মাস্টারমাইন্ডের নাম সামনে আসেনি। হিস্সা নিয়ে অশান্তির জেরেই তিনি বিদেশে গিয়ে আত্মগোপন করেন। তিনি বাংলাদেশ, তারপর সৌদি আরব, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। বাংলাদেশে রীতিমতো অফিস করে তিনি হাওলা কারবার চালাতে থাকেন। বাংলাদেশ পুলিস তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোয় তিনি মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন। পরে সৌদি আরবে গিয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেন।
গোয়েন্দাদের দাবি, গোরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত এই আত্মীয়ও কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। বীরভূমের লোহাপুর সহ বিভিন্ন হাট থেকে গোরু এনে পাচার করা হতো। সেই কারণে বীরভূমে তাঁর নেটওয়ার্ক যথেষ্ট মজবুত। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হতো। তৃণমূলের দাবি, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিজেপি কল্কে পাচ্ছে না। তাই অর্থ ও পেশিবল ব্যবহার করে তারা এলাকা দখলের ছক কষছে। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, এলাকা দখল করার জন্য ওই পাচারকারীকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু তাতেও ওরা কিছুই করতে পারবে না। বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, সিবিআইয়ের তদন্তের তৃণমূলের অনেক নেতার নাম গোরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে উঠে এসেছে। দুষ্কৃতী বা মাফিয়াদের নিয়ে আমরা কখনোই রাজনীতি করি না।