মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ঘটনা দুই: সোমবার রাত। করোনা-আক্রান্ত ডায়ালিসিস চলা ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে ভর্তি করতে গিয়েও সেই এক অবস্থা। হাতে বেসরকারি হাসপাতালের ফাঁকা বেডের তালিকা থাকলেও যতবারই সেসব জায়গায় ফোন করছেন প্রিয়জন, বলা হচ্ছে, এই হিসেব সকালের। সন্ধ্যার মধ্যে আমূল পাল্টে গিয়েছে। ফাঁকা শয্যাগুলি এখন রোগীতে ভর্তি।
এদিকে সরকারি বা সরকার অধিগৃহীত কোভিড হাসপাতালেও সরাসরি ভর্তির সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যভবন ফোন করলে তবে তারা রোগী নেবে। ফলে শাঁখের করাতের অবস্থা বহু রোগী ও বাড়ির লোকজনের।
নন করোনা মেডিক্যাল কলেজের রোগীরা পজিটিভ হলে, তাঁদের সরকারি কোভিড হাসপাতালে পাঠাতে গিয়ে ঘাম ছুটছে খোদ স্বাস্থ্যকর্তাদেরই। এক্ষেত্রে নন করোনা হাসপাতালের সহকারী সুপার করোনা হাসপাতালের সহকারী সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দ্বিতীয় হাসপাতালের সহকারী সুপার রোগী সম্পর্কিত তথ্য দেন অন ডিউটি চিকিৎসককে। তিনি মূল্যায়ন করে ‘হ্যাঁ’ বললে, তবেই রোগী ভর্তি হন।
ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, শহরে করোনার চিকিৎসা করা বেসরকারি হাসপাতালগুলির কোভিড বেড মোটামুটি কমবেশি ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ রোজ ভর্তি থাকছে। মঙ্গলবার সরকারি তালিকা অনুযায়ী ৩৩টি বেসরকারি হাসপাতালে ১২১৬টি করোনা শয্যার মধ্যে মাত্র ১৩১টি ফাঁকা ছিল। কিন্তু ফাঁকা বেড থাকা হাসপাতালগুলিও সন্ধ্যায় জানিয়েছে, কোনও বেড ফাঁকা নেই। রিয়েল টাইম বা প্রতিমুহূর্তের তথ্য আপডেট না-থাকায় এই ভোগান্তি হচ্ছে বলে সাফাই দিয়েছেন তাঁরা। বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসায় প্রচুর শয্যাসংখ্যা বাড়িয়েছে। যেমন বাইপাসের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ১৩২। দক্ষিণ কলকাতায় আলিপুরের একটি হাসপাতালে ১০২টি শয্যা। অথচ বড় পরিকাঠামো থাকা সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতাল মাত্র সাতটি করোনা বেড চালু রেখেছে। বাইপাসের ৫০০ শয্যার একটি বেসরকারি হাসপাতাল করোনার জন্য মোটে ৪০টি শয্যা রেখেছে।
কোভিড হাসপাতাল চালানো এক বেসরকারি হাসপাতালের পদস্থ কর্তার অভিযোগ, বুঝতে পারছি না কেন বেশকিছু নামজাদা হাসপাতাল গোষ্ঠী বাড়তি ছাড় পাচ্ছে! এমনকী করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পরও রোগী বা বাড়ির লোকজনকে স্বাস্থ্যভবন থেকে সময়ে ফোন করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, করোনা উপসর্গ থাকলে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে দেখান। ডাক্তারবাবু মনে করলে করোনা পরীক্ষা করাবেন। পজিটিভ হলে স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করা হবে। উপসর্গ জেনে হাসপাতাল বা হোম আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত হবে। কোন হাসপাতালে রাখা হবে, সেটা সরকারি সিদ্ধান্ত। সমস্যা হলে স্বাস্থ্যদপ্তরের টোল ফ্রি নম্বর ও কলসেন্টার সাহায্য করবে। রিয়েল টাইম তথ্য আপডেট এবং বেসরকারি হাসপাতালে করোনা বেড বাড়ানোর বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।