শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
কালো আর সাদার বিরোধ আবহমান। ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যু সেই বিরোধকেই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। প্রাথমিকের বইটিতেও সেই মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। কোনও প্রকাশক বইটি ছাপলেও, সেটিকে পাঠযোগ্য বলে অনুমোদন করে সঙ্কটে পড়েছেন ওই শিক্ষিকা।
গত ১১ জুন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি চিঠি দিয়ে তাঁকে সাসপেন্ড করেন। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণীদেবীকে ওই চিঠিতে বলা হয়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বইটি পাঠযোগ্য বলে ছাড়পত্র দেওয়ায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। এও জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও আনা হচ্ছে। যার জবাব তাঁকে দিতে হবে।
সেদিনই শ্রাবণী মল্লিক পর্ষদকে জানান, বইটিকে অনুমোদন করলেও কোনও শিক্ষার্থী বা অভিভাবককে তা কেনার জন্য জোর করা হয়নি। পর্ষদের ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কনফার্মেশন, কন্ডাক্ট অ্যান্ড ডিসিপ্লিন অব টিচার্স অ্যান্ড নন-টিচিং স্টাফ’ রুল, ২০১৮’র ৬নং ধারার উল্লেখ করে আদালতকে বলা হয়েছে, এমন নয় যে, তিনি অশোভন বা অসদাচরণ করেছেন। এও বিশ্বাস করার কারণ নেই যে, তাঁকে সাসপেন্ড করলে তিনি প্রমাণের ক্ষতি করবেন। ফলে ১১ জুনের ‘সাসপেনশন নোটিস’ কার্যত ভিত্তিহীন। তা খারিজ হওয়া উচিত। আপাতত তা স্থগিত রাখা হোক বলেও আবেদন পেশ হয়।
সরকারি আইনজীবী এই আবেদনের বিরোধিতা করে বইটির ছবি ও বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, চূড়ান্ত ঘৃণার প্রতিফলন থাকা সত্ত্বেও এই বইকে অনুমোদন করে শ্রাবণীদেবী আইন ভঙ্গ করেছেন। ফলে কোনও কারণেই সাসপেনশন নোটিস স্থগিত হওয়া অনুচিত। বরং
সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা করার অনুমতি দেওয়া হোক।