কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এদিন সন্ধ্যায় লেক থানার অন্তর্গত ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের যোধপুর পার্ক এলাকায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছিলেন। এই কর্মসূচি ঘিরেই ঝামেলার সূত্রপাত। বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা প্রচার চালানোর সময় শাসকদলের পার্টি অফিসের সামনে তৃণমূলের কিছু কর্মী-সমর্থক বসেছিল। তারা তাঁদের ওই কর্মসূচি বন্ধ করতে বলে। কিন্তু তা তাঁরা মানেননি। তাতে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। আর তখনই তৃণমূলের কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপরে হামলা করে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের। বিজেপির প্রচার কর্মসূচিতে থাকা মহিলাদেরও মারধর করা হয়। পাল্টা তৃণমূলের কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা সেখানে নিত্যদিনের মতোই বসেছিলেন। তখন বিজেপি কর্মীরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে তাদের কর্মসূচি পালন করার নামে তাঁদের সামনে এসে গালিগালাজ করতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রীর নামেও গালিগালাজ করে। বিজেপির মিছিলে থাকা মহিলারা অশ্রাব্য ভাষায় মন্তব্য ছুঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করতেই বিজেপির কর্মীরা তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের হাতে ক্ষুর ছিল বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে তাঁদেরকে মারধর করা হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে লেক থানার পুলিস এলে তাদের উপরেও হামলা হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একটি বাইকও। তৃণমূলের নেতাদের অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা ক্ষুর নিয়ে পুলিসের উপরে হামলা চালিয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝামেলা আটকাতে গিয়ে তাদেরকেও রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ করেছে পুলিস। ঘটনায় পুষ্পল ভট্টাচার্য, মেঘনাথ পুরকায়েত সহ মোট চারজন পুলিস কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে একজন ছাড়া বাকি তিনজনকে রাতে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ রতন দে বলেন, বিজেপি লোকজন এলাকায় দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম করছে। এদিন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা করছে। পুলিসকেও মারধর করা হয়েছে। অস্ত্র নিয়ে বিজেপির কর্মীরা এখন মিছিল করছে এবং মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, আমাদের দলের লোকেরা যখন বাড়ি বাড়ি শান্তিপূর্ণ প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখন তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসে তৃণমূলকে বাধা দিয়েছে। ঘটনার পর রাতে এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের ধরা হবে।