শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্যান্য দিনের মতো পানিহাটি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সোদপুর অমরাবতী মোড়ের পার্টি অফিসে বসেন তৃণমূল কর্মীরা। রাতে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ ওই অফিসের দেওয়াল লক্ষ্য করে পরপর চারটি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা দ্রুত ঘোলা থানায় ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান। রাতেই পুলিস এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে পানিহাটি পুরসভা এলাকায় চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সোমবার শ্রীনগরে বিজেপির জেলা সভাপতির বৈঠকে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ওই রাতেই ঘোলা থানার সামনে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়। থানার সামনে দুষ্কতীরা চার রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি বোমাবাজি করে। বিজেপি কর্মী পরিতোষ বিশ্বাস ও রাজা সরকার গুলিবিদ্ধ হন। তৃণমূলেরও বেশ কয়েক জন কর্মী জখম হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে শ্রীনগর ও পূর্বাচলে পাঁচ বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। গত তিন দিন ধরে বোমা ও গুলির লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। থানার সামনে বোমা ও গুলির লড়াই হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, তা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এদিন বিকেলে পানিহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার রূপালি বিশ্বাসের বাড়ি লাগোয়া পার্টি অফিস থেকে ধিক্কার মিছিল বের করে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। ঘোলা কমদতলায় মিছিল শেষের পর প্রতিবাদ সভা করা হয়। ওই সভায় জেলার মহিলা তৃণমূল নেত্রী কেয়া দাস, পানিহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেত্রী তন্দ্রা ঘোষ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অমরাবতী মোড়ের যুব তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালায়। পার্টি অফিস লক্ষ্য করে চারটি বোমা ছোঁড়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের ছবি ছিঁড়ে দেয়। পুলিস রাস্তায় লাগানো সিসি টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। আশা করছি দ্রুত পুলিস ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে। আসলে সংগঠন বাড়াতে না পারা হতাশ বিজেপি নেতারা বহিরাগত দুষ্কৃতী এনে এলাকার দখল নিতে চাইছে। আমাদের কাউন্সিলারকে অপহরণের চেষ্টা করার পাশাপাশি থানা লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি চালাচ্ছে।
বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি কিশোর কর বলেন, ওরা আমাদের মিটিংয়ে হামলা চালাচ্ছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর করছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে আমাদের দুই কর্মী মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের কর্মীদের রক্ষা করতেই ব্যস্ত রয়েছি। ওদের নিজেদের কোন্দল থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। কিংবা বিজেপির উপর হামলার ঘটনা থেকে চোখ ঘোরানোর জন্য, ওরা নিজেরাই নিজেদের অফিসে বোমা মারতে পারে।