শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
ছাত্রছাত্রীদের দাবি, পুজো সহ অন্যান্য ছুটির কারণে পুরো চার মাসও নাকি ক্লাস হয়নি তাঁদের। বেশ কিছু বই পেতেও অনেক দেরি হয়েছে। এদিকে, ১২ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। তাই তাঁরা পড়েছেন অকুলপাথারে। একটি নামী কলেজের কলা বিভাগের এক ছাত্রী বলেন, আমরা তো মানুষ, রোবট নই। প্রস্তুতির জন্য তো ন্যূনতম সময় দিতে হবে। আরেক ছাত্র বলেন, যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের সেমেস্টার পদ্ধতিতে অসুবিধা কম। কারণ, তাঁদের হোম ইউনিভার্সিটি। যাঁরা ক্লাস করান, তাঁরাই প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। তাই তাঁরা জানেন, কতটা পড়ানো হয়েছে, কোথা থেকে প্রশ্ন করা উচিত। কিন্তু কলকাতার মতো ‘অ্যাফিলিয়েটিং’ ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে কোন কলেজে কতটা ক্লাস হয়েছে, কী কী পড়ানো হয়েছে, তা প্রশ্নকর্তার জানার কথা নয়। তাই পরীক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি এবং মূল্যায়নের মাপকাঠিতে ফারাক থেকে যায়।
তবে, পরীক্ষা পিছনোর সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র পরীক্ষা নেওয়ার অধিকারী। আমরা স্নাতকস্তরের সিলেবাস তৈরি করি এবং দিনক্ষণ ঘোষণা করে পরীক্ষা নিয়ে থাকি। ক্লাস না হলে সেটা তো অধ্যক্ষকে জানাতে হবে। কলেজের পরিচালন সমিতি রয়েছে। তার উপরে রয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। লাইব্রেরিতে বইয়ের অভাবের কথা আমাকে জানিয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি কিছু করার নেই। একটি পরীক্ষা পিছনো হলে তার প্রভাব পড়বে বাকিগুলিতেও। হয় তারা পরের সেমেস্টারে কম সময় পাবে, নাহলে চূড়ান্ত ফলপ্রকাশ পিছিয়ে যাবে। সেটা হলে বাইরের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারবে না ছাত্রছাত্রীরা। আর পরীক্ষা পিছনোর সময়সীমার তো কোনও শেষ নেই। ১৫ দিন পিছিয়ে দিলে বলা হবে একমাস কেন নয়? একমাস পিছিয়ে দিলে তিনমাসের দাবিও উঠতে পারে। আর, ছাত্রছাত্রীরা যে আশঙ্কা করছেন হাজিরার হার কম হবে, সেটা অমূলক। যতদিন ক্লাস হয়েছে, সেটাকে ১০০ শতাংশ ধরে নিয়েই তার ৭৫ শতাংশের হিসেব হবে।