যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, গত ১৬ মে দমদমের নাগেরবাজার এলাকায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই তিনি যে গোপন খামটি দিয়েছিলেন, মুকুল রায়ের গাড়ি থেকে ওই খামটি পড়ে যায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি তা কুড়িয়ে পেয়ে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই খাম খুলে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি। দিল্লির মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে লেখা মানসবাবুর একটি চিঠি ওই খামের ভিতর থেকে পাওয়া গিয়েছে। সেখানে তিনি আটজন তৃণমূল কাউন্সিলার এবং তৃণমূলের ৫০ জনের নাম লিখে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এই নেতাদের গ্রেপ্তার করার জন্যই মানসবাবু ওই চিঠি খামে ভরে বিজেপি নেতাকে দিয়েছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ওই খামের ভিতরে দমদম লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার নাম উল্লেখ করে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার হিসাব পাওয়া গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ওই টাকা বিজেপি এবং সিপিএম মিলে বিলি করেছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, আমরা আগেই সিপিএম-বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ করেছিলাম। এবার তথ্যও পাওয়া গেল। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা দমদমের রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যারা ভোট লুট করে আমি তাদের তালিকা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছিলাম। সেই চিঠি নাগেরবাজার থেকে নয়, ওই চিঠি জেলা থেকেই কোনও আধিকারিকের কাছ থেকে তৃণমূল পেয়েছে। বাকি অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। ভোটের আগের দিন তৃণমূল এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। আমি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছি। সেই সঙ্গে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলার জন্য আমি আইনজীবীর চিঠি পাঠাচ্ছি। জবাব সন্তোষজনক না হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমি মানহানির মামলাও করব।