কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
এতদিন সেলুলয়েড প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র একটি প্রজেক্টর ব্যবহার করা হতো। এবার তা পরিবর্তন করে ডিজিটাল ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর একটির পরিবর্তে রাখা হয়েছে ছ’টি প্রজেক্টর। এই প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য হল, একইসঙ্গে টু ডি এবং থ্রি ডি ফিল্ম দেখানো যাবে। এর সঙ্গে বিশেষ ধরনের পাওয়ার ডোম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। জার্মানির একটি সংস্থাকে এই নতুন প্রযুক্তি বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এদিন এই নতুন প্রযুক্তিতে যে ছবি দেখানো হল, তা মুগ্ধ করে দেওয়ার মতো।
যে দু’টি ফিল্ম চালু হল, সেগুলি হল দি লাইফ অব ট্রিজ এবং অ্যাস্টেরয়েড: মিশন এক্সট্রিম। দি লাইফ অব ট্রিজ একটি অ্যানিমেটেড ছবি। গাছের ইতিকথার উপরই তৈরি করা হয়েছে এই ছবি। কীট-পতঙ্গদের মাধ্যমে পৃথিবীতে গাছপালার প্রয়োজনীয়তা কতটা, তাই তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। ৩০-৩৫ মিনিট দৈর্ঘ্যর এই ছবি থ্রি ডি’তে দেখতে হলে বিশেষ চশমা লাগবে। ছবি দেখতে দেখতে কখনও মনে হবে গোটা হলটাই ঘুরছে, আবার কখনও মনে ছবির মধ্যেই ঢুকে পড়েছি। এক কথায়, এই পদ্ধতি দর্শকদের এক ‘ভারচুয়াল রিয়েলিটি’তে নিয়ে যাবে। থ্রি ডি ইফেক্টের কারণে মনে হবে গাছপালার মধ্যেই যেন রয়েছি। আবার মনে হবে বৃষ্টির ফোঁটা যেন নিজের গায়ে এসেই লাগছে।
সায়েন্স সিটির অধিকর্তা শুভব্রত চৌধুরী বলেন, আগে আমরা বছরে দু’টি ছবি প্রদর্শন করতে পারতাম। কিন্তু এখন আমরা রোজ দু’টি করে ছবি দেখাতে পারব। আগামীদিনে এর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইংরেজি, বাংলা ও হিন্দিতে যাতে দেখানো যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। থ্রি ডি শোয়ের টিকিটের দাম ১২০ টাকা। আর টু ডি শোয়ের দাম করা হয়েছে ১০০ টাকা। সায়েন্স সিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, থ্রি ডি শো দেখার জন্য যে চশমা দেওয়া হয়েছে, তার একেকটির দাম চার হাজার টাকা। কর্তৃপক্ষের চিন্তা, কেউ এটি ভেঙে ফেললে বড়সড় লোকশান হবে।