পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
শহরবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, আদ্রা কাগজে-কলমে নামে শহর। তবে শহরটি কাশীপুর বিধানসভার বেকো ও গগনাবাদ এবং রঘুনাথপুর বিধানসভার আড়রা ও শাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের অংশ নিয়ে গঠিত। নামে শহর হলেও এখানে কোনও পুরসভা নেই। আবার নামের সঙ্গে ‘শহর’ যুক্ত থাকায় এখানে কোনও পঞ্চায়েত ভোট হয় না। ফলে শহরের মানুষ শুধু বিধানসভা ও লোকসভা ভোটই দেন।
আদ্রা শহরটি দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, শহরের দক্ষিণ অংশটি কাশীপুর বিধানসভার মধ্যে রয়েছে। তাই ওই অংশের ভোটাররা পুরুলিয়া লোকসভায় ভোট দেন। অন্যদিকে উত্তর অংশটি রঘুনাথপুর বিধানসভার অন্তর্গত। রঘুনাথপুর বিধানসভাটি বাঁকুড়া লোকসভার মধ্যে রয়েছে। তাই উত্তর অংশের ভোটাররা বাঁকুড়া লোকসভায় ভোট প্রদান করেন। আপাত দৃষ্টিতে অনেকের বিষয়টি জটিল বলে মনে হয়। তবে শহরের মানুষদের কাছে বিষয়টি সরল হয়ে গিয়েছে। তবে আদ্রার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, আদ্রাকে পুরসভা করা হোক।
জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, আদ্রা পুরসভা না থাকায় অনেক অসুবিধা হয়। রেল তাদের নিজেদের মতো কাজ করে। ফলে শহরের মানুষ বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন। নির্বাচন মিটলেই আমরা পুরসভার বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হব।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, পুরসভার বিষয়টি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে তেমন সক্রিয় হয়নি। আমরা সরকারে এলে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তবুও আমাদের তরফ থেকে শহরের মানুষকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়।