পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
সিউড়ির বাসিন্দা কমলিকা মুখোপাধ্যায় একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সিউড়ি শহরের সাংঘাতিক চুরি-‘ড্রেন চুরি’। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তার একপাশে ড্রেনের একাংশ ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দোকানের নোংরা জল, প্লাস্টিক এই ড্রেনেই এসে পড়ে। কিন্তু যে অংশে আবাসন তৈরির কাজ হচ্ছে, তার ঠিক সামনে দেখা যাচ্ছে ড্রেন বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর ওই ড্রেনের উপর দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার একের পর এক গাড়ি যাতায়াত করছে। স্বাভাবিকভাবে ড্রেনের নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার থেকে শুরু করে পুরসভার চেয়ারম্যানকে বলা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে মানুষের ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ড্রেন চুরি’র এই ভিডিও ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা নিয়মিত সমস্যায় ভুগছি। মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে যাই। এনিয়ে একাধিকবার পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এর পাশ দিয়েই ডিএম, এসপি যান। অথচ কোনও হুঁশ নেই। পাশেই একটা আবাসন তৈরি হচ্ছে। ওই অংশে ড্রেনটাই সম্পূর্ণ বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে জল আর বেরতে পারছে না। তাই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাই।
অন্যদিকে, সিউড়ির নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দল থেকে সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলছেন। কিছু জায়গার ড্রেনের দুর্গন্ধে টেকা দায়। নামমাত্র সেখানে সাফাই করা হয়। শহরের আনন্দপুর থেকে শুরু করে হাটজনবাজার কলোনি, সর্বত্রই একই চিত্র। এই কারণে মশার উৎপাত দিন দিন বাড়ছে। নিয়মিত মশানাশক স্প্রে করার দাবি উঠছে শহরে। সিউড়ি শহরের বাসিন্দা তথা বিজেপির বীরভূম জেলার সহ সভাপতি দীপক দাস বলেন, শুধু পানীয় জল নিয়ে নয়, ড্রেনের অব্যবস্থা নিয়েও সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল, দোকান থেকে নোংরা জল কোথায়, কীভাবে যাচ্ছে তা নিয়ে কারও হুঁশ নেই। আমরা বিগত দিনে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম।